অবশেষে ঘর পেলো সেই বৃদ্ধা

0
13


রাজীবপ্রধান, শ্রীপুর-গাজীপুর প্রতিনিধি :

ফেসবুকে অসহায় এক গরীব বৃদ্ধ মায়ের পলিথিন আর প্লাস্টিকের বস্তায় তৈরি একটি ছোট্ট জীর্ণশীর্ণ কুড়ে ঘরে বসবাসের দৃশ্য ভাইরাল হওয়ার পর, ঐ মাকে একটি ঘর উপহার দিলেন শ্রীপুর উপজেলা আওয়ামিলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও পৌর ৯নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর আমজাদ হোসেন বিএ।

বৃদ্ধা শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া পশ্চিম খন্ড ৯ নং ওয়ার্ডের বাসিন্দা মৃত রমজান আলীর স্ত্রী খুদেজা বেগম। সংসার জীবনে স্বামী হারানোর পরে, এক মাএ ছেলেকে নিয়ে অসহায় আর দারিদ্র্যের কষাঘাতে মানবেতর জীবনযাপন করছিলেন স্বামী হারা খুদেজা বেগম। বয়স ৬০ এর কাছাকাছি। বার্ধক্যজনিত কারণে চলাচলের শক্তিটাও হারিয়ে ফেলেছে সে।
স্বামীর মৃত্যুর পরে এক ছেলেকে নিয়ে তার সংসার চলে বেশ কষ্টে। স্বামীর কাছ থেকে পাওয়া একচালা ঘরে ছেলেকে নিয়ে বসবাস করতেন খুদেজা। কিন্তু বেশিদিন এভাবে থাকা সম্ভব হয়নি খুদেজা বেগমের।
ছেলের বিয়ের পর কিছু দিন ঐ ঘরের বারান্দায় ঠাই হলেও এখন আর সেখানে থাকার সুজুগ না হওয়াতে তাকে থাকে হচ্ছে এই জীর্ণশীর্ণ কুঁড়েঘরে। প্রতিবেশীরা বলছে তার ছেলে তার ভরণপোষণের দায়িত্ব নিলেও তাকে এই ঘরটাতেই থাকতে দিয়েছে তার ছেলেই। সংসারের অভাব আর আর্থিক অসচ্ছলতার কারণে ছেলে তার মায়ের জন্য সুচিকিৎসা কিংবা বসবাসের যোগ্য কোন ঘর তৈরি করে দেওয়া তার পক্ষে সম্ভব হয়ে ওঠেনি। তাছারা বৃদ্ধা গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় বিছানায় পরে থাকায় তাকে আলাদা করে রাখা হয়েছে বলে জানায়।

ঘর তৈরি করা বিষয়ে শ্রীপুর পৌর সভার ৯ নং ওয়ার্ডে কাউন্সিল ও পেনেল মেয়র আমজাদ হোসেন বিএ বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকারের অঙ্গীকার মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে অসহায় গরীব মানুষের মাঝে ঘর বিতরন করা। তাই আমার সল্পপ্রচেষ্ঠায় এই বৃদ্ধা মহিলাকে আমার নিজ অর্থায়নে ঘর তৈরি করে দেয়ার পরিকল্পনা হাতে নিয়েছি। আশাকরি অল্প সময়েই মধ্যেই ঘর তৈরি করা সম্পূর্ণ হবে।