হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্প এলাকায় সব ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ করেছে হাইকোর্ট

0
2

রাজধানীর হাতিরঝিল-বেগুনবাড়ি প্রকল্পটি পাবলিক ট্রাস্ট প্রপার্টি ঘোষণা করে রায় দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ে আদালত বলেছেন, ‘আমাদের ফুসফুস হিসেবে খ্যাত প্রকল্পটি সুরক্ষা করা একান্ত অপরিহার্য।’ এ জন্য কয়েক দফা নির্দেশনা দিয়েছেন আদালত।

বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল জলিলের সমন্বয়ে গঠিত ভার্চুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ রায় দেন। ওই প্রকল্পে থাকা অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের নির্দেশনা চেয়ে ২০১৮ সালে মানবাধিকার ও পরিবেশবাদী সংগঠন হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের পক্ষে হাইকোর্টে রিট করা হয়। এ রিটের চূড়ান্ত শুনানি শেষে রায় দেওয়া হলো।

রায়ে বলা হয়, আগামী ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে সব ধরনের হোটেল, রেস্তোরাঁসহ সব বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানকে প্রকল্প থেকে উচ্ছেদ করতে নির্দেশ প্রদান করা হলো।

আদালত প্রকল্পটির সংরক্ষণ, উন্নয়ন ও পরিচালনার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের অধীন একটি পৃথক কর্তৃপক্ষ গঠন করতে বলেছেন।

রায়ে আরও বলা হয়, পুরো প্রকল্পের স্থায়ী পরামর্শক হিসেবে বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালের পুরকৌশল বিভাগ এবং বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ২৪তম ইঞ্জিনিয়ারিং ব্রিগেডকে নিয়োগ করা হলো।

আদালতের অপর নির্দেশনায় বলা হয়, পুরো প্রকল্প এলাকায় জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য মাটির নিচে ওয়াশরুমের ব্যবস্থা করতে হবে। পুরো প্রকল্প এলাকায় নির্ধারিত দূরত্বে বিনা মূল্যে সব জনসাধারণের জন্য সুপেয় পানির ব্যবস্থা করার জন্য বলা হয়েছে।

আদালতের অপর এক নির্দেশনায় পায়ে হাঁটার জন্য, সাইকেল চালানো ও শারীরিক প্রতিবন্ধীদের জন্য পৃথক লেন করার জন্য বলা হয়েছে।

রায়ে আদালত বলেছেন, ‘পুরো প্রকল্প এলাকার লেকের জল ও মাছের অভয়ারণ্য ঘোষণার নির্দেশ দেওয়া হলো। লেকের পানিতে কোনো ধরনের বাণিজ্যিক কার্যক্রম নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হলো।