খালিদ আহমেদ রাজা:
বিশ্বের রোল মডেলের নাম আর এক নাম বাংলাদেশ। মাতৃ মৃত্যুর হার কমে আসা এই সব অর্জনের মধ্যে অন্যতম।
দিনে দিনে বাল্যবিবাহ কমে আসায় কমছিল মাতৃ মৃত্যুর হার। কিন্তু এই করোনা মহামারির মধ্যে বেড়ে গেছে বাল্য বিবাহ। দেশে আগের তুলনায় এই সময়ে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে প্রায় ১৪ শতাংশ। বিগত ২০ বছরের মধ্যে এবারই এ হার সবচেয়ে বেশি বলে ধারণা করা হচেছ বলে জানিয়েছেন এক দল গবেষক।
করোনাকালে অভিভাবকের কাজকর্ম না থাকা ও সন্তানের স্কুল খোলার নিশ্চয়তা না থাকা এবং অনিরাপত্তা বোধ থেকে দেশে বেড়ে গেছে বাল্যবিবাহ।বিশেষ করে গ্রাম ও বস্তিতে বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি সংস্থার হিসাব মতে ২০২০ সালের মে, জুন, জুলাই, আগস্ট ও সেপ্টেম্বর মাসে আশঙ্কাজনক হারে বাল্যবিবাহ বৃদ্ধি পেয়েছে এবং ২০২১ সালেও এই সময়ে বাল্য বিবাহ চলমান রয়েছে।
কুড়িগ্রামের উলিপুরে জন্ম তারিখ পরিবর্তন করে ৯ম শ্রেণী পড়ুয়া কিশোরীকে বাল্য বিয়ে করার অপরাধে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে বুড়াবুড়ি ইউপি চেয়ারম্যান আবু তালেব সরকারকে।
কুড়িগ্রামের স্মরলিকা পারভীন, ২০১৭ বঙ্গমাতা গোল্ডকাপের সেরা খেলোয়াড়। করোনার কারণে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ এবং পারিবারিক দারিদ্রের কাছে হার মেনে বাল্যবিবাহ দিয়েছেন অভিভাবকরা ২০১৭ সালে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব গোল্ডকাপের সেরা খেলোয়াড় হন স্মরলিকা পারভীন। হ্যাটট্রিক কন্যা খ্যাত পারভিন পুরস্কার নেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে।
পাবনার সুজানগর উপজেলার ফুলালদুলিয়া গ্রামের ঘটনা। অষ্টম শ্রেণীর ছাত্রী ১৫ বছরের কিশোরী সুমা খাতুন। তার সঙ্গে পাশের উপজেলার এক যুবকের বিয়ের আয়োজন করা হয়েছিল। এ খবর জানতে পেরে ইউএনও রওশন আলী পুলিশ ফোর্স নিয়ে হাজির হন অকুস্থলে। অবস্থা বেগতিক দেখে কনে,তার মা-বাবা, বরসহ বরযাত্রীরা পালিয়ে যায়। তবে কাজী সাহেব পালাতে পারেন নি। পুলিশ তাকে আটক করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত তাকে ৭ দিনের বিনাশ্রম কারাদ- দেয়।
১৪ বছর বয়সী স্কুল পড়ুয়া এক কিশোরী বাল্যবিবাহের শিকার হয়।চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ নম্বরে প্রতিবেশীরা ফোন করেন। স্থানীয় প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নেয়।গাইবান্ধা জেলার ধর্মপুর এলাকায়ও এরকম একটি ঘটনার খবর জানা গেছে।
করোনা মহামারিতে অভাবী দরিদ্র পরিবারে বাল্যবিবাহের এরকম দু-একটি ঘটনা প্রশাসন অবহিত হয়ে বন্ধ করতে পারছে বটে। কিন্তু এমন অসংখ্য দুর্ভাগ্য-জনক ঘটনা প্রশাসনের আগোচরে হরহামেশা ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়ত
২০২০ সালের অক্টোবর মাসে জাতীয় সংসদ ভবনে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটি করোনাকালে বাল্যবিয়ে এবং নারী ও শিশুদের প্রতি সহিংসতা বিষয়ে বৈঠক করে।এতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কার্যপত্রে বলা হয়, কুড়িগ্রাম, গাইবান্ধা, নাটোর, যশোর, কুষ্টিয়া, রাজশাহী, নরসিংদী ও ঝালকাঠি জেলায় করোনায় বাল্যবিয়ে বেড়ে গেছে।
সংসদীয় কমিটিতে উত্থাপিত মহিলাবিষয়ক অধিদফতরের প্রতিবেদন অনুযায়ী, করোনাকালের ১৫ মাসে (মার্চ- জুন ২০-২১) ২৬৬টি বাল্যবিয়ে ঠেকানো সম্ভব হয়েছে। তবে এই সময়ে সারা দেশে ২৩১ টি বাল্যবিয়ে হয়ে গেছে।সবচেয়ে বেশিসংখ্যক, ৭১টি বাল্যবিয়ে হয়েছে উত্তর জনপদের জেলা কুড়িগ্রামে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ নাটোর জেলায়, ২৩টি। যশোর ও কুষ্টিয়ায় ১৫টি, ঝালকাঠিতে ১০টি, নওগাঁ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নরসিংদীতে ৮টি করে, গাইবান্ধা ও কক্সবাজারে ১২টি করে, নীলফামারী ও লক্ষ্মীপুরে ৬টি এবং চট্টগ্রাম ও রাজশাহীতে ৫টি বাল্যবিয়ে সব থেকে বেশি হয়েছে এই করোনা সময়ে ।
মানুষের জন্য ফাউন্ডেশন (এমজেএফ) এক আনলাইন প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, গত জুন মাসে দেশে ৪৬২টি শিশু কন্যা বাল্যবিবাহের শিকার হয়। তার মধ্যে ২০৭টি বাল্যবিবাহ রুখে দেওয়া সম্ভবপর হয়েছে। গত মে মাসেও ১৭০টি বাল্যবিবাহের ঘটনা ঘটেছে, তার পরও। প্রশাসন ও সচেতন মানুষের আন্তরিক, সক্রিয় উদ্যোগে ২৩৩টি বিয়ে বন্ধ করা গেছে।
সবার মধ্যে একটি প্রশ্ন, কেন করোনার কালবেলায় বাল্যবিবাহ বেড়েছে? ভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বহুদিন ধরে বন্ধ। বহু মানুষ কাজ হারিয়েছে। কাজ না থাকায় অনেকের ঘরেই অভাব অনটন। জীবনযাপনে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। সামাজিক নিরাপত্তার বিষয় চিন্তাভাবনা করে অনেক বাবা-মা শিশুকন্যাকে নিজের কাছে রাখতে সাহস পাচ্ছেন না, বিশেষ করে গ্রাম অঞ্চলে। তারা অনিশ্চয়তায় ভুগছেন। তাই তড়িঘড়ি বিয়ে দিচ্ছেন পিতা-মাতারা।
ইউনিসেফের সহযোগিতায় পরিচালিত চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮-এর ব্যবস্থাপক চৌধুরী মো. মোহাইমেন এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে জানান: করোনা সংক্রমণের কারণে বাংলাদেশে বাল্যবিবাহের হার আশঙ্কাজনক ভাবে বেড়ে গেছে। চলতি বছরের আমরা গত এপ্রিলে ১০৯৮ হেল্পলাইনে বাল্যবিবাহ-সংক্রান্ত ৪৫০টি ফোন কল আসে। অথচ মার্চে এ সংখ্যা ছিল ৩২২টি কল। মহামারির আগে যেখানে আমরা বাল্যবিবাহ-সংক্রান্ত ১০০টি কল পেতাম, এখন সেখানে কমবেশি ১৮০টি ফোনকল পাচ্ছি।
চাইল্ড হেল্পলাইন ১০৯৮ অনলাইন সূত্রে জানা যায়, বাল্যবিবাহ-সংক্রান্ত ফোনকলের সংখ্যা আগের চেয়ে দ্বিগুণ বেড়েছে এই মহামারিতে। অনেক পরিবারই করোনা মহামারির কারণে আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।শহর থেকে বাধ্য হয়ে তারা গ্রামে ফিরে গেছে। দরিদ্র পরিবারের অভিভাবকরা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় মেয়েদের নিয়ে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন। আবার দেখা গিয়েছে করোনাকালে অনেক প্রবাসী অবিবাহিত যুবক দেশে ফিরে এসেছেন। বাবা-মাও তাদের অপ্রাপ্তবয়স্কা কন্যাকে এরকম যুবকদের কাছে বিয়ে দিতে পেরে নিরাপদ ও স্বস্তিবোধ করছেন।
বিশ্বব্যাপী আনুমানিক ৫ লাখ মেয়ে বাল্যবিবাহে বাধ্য হওয়ার ঝুঁকিতে আছে। চলতি বছর বাল্যবিবাহের শিকার ১০ লাখ মেয়ের সন্তান-সম্ভবা হওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। ২০২১ সালে দক্ষিণ এশিয়ায় প্রায় ২ লাখ মেয়ে নতুন করে বাল্যবিবাহের ঝুঁকিতে পড়বে মনে করতেছে গবেষকরা।তবে বাংলাদেশের জন্য এর প্রভাব অশুভ। আমরা এরই মধ্যে বাল্যবিবাহের কুফল ও অভিশাপে ভারাক্রান্ত হয়ে পড়েছি।
এদিকে করোনার কারণে ২০২০ সালে কমপক্ষে আরো পাঁচ লাখ মেয়েকে জোর করে বিয়ে দেয়া হতে পারে বলে উল্লেখ করা হয়েছে সেভ দ্য চিলড্রেনের গ্লোবাল গার্ল হুড প্রতিবেদনে৷ ২০২৫ সালের মধ্যে বাল্য বিবাহের শিকার হতে পারে আরো অতিরিক্ত ২৫ লাখ মেয়ে৷ গত ২৫ বছরের মধ্যে এবারই বাল্যবিবাহের হার সবচেয়ে বেশি ৷ ২০২৫ সালে বাল্যবিবাহের সংখ্যা বেড়ে মোট ছয় কোটি দশ লাখ হতে পারে বলে সংস্থাটি আশঙ্কা করছে।
দায়ী কে?
দারিদ্র্য, কম বয়সে ছেলেমেয়ের বিয়ে দেওয়ার প্রচলিত সামাজিক প্রথা, পারিবারিক ওয়াদা পূরণ, করোনা প্রভাবে স্কুল বন্ধ থাকা, যৌতুক প্রথা, মেয়েশিশুর সামাজিক নিরাপত্তাহীনতা, অজ্ঞতা, , সচেতনতার অভাব, কুসংস্কার, মেয়েশিশুদের বোঝা মনে করা, সামাজিক অস্থিরতা, বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের যথাযথ প্রয়োগ না হওয়া ইত্যাদি। উল্লেখিত কারণসমূহের মধ্যে মেয়েশিশুর নিরাপত্তা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি আজকের প্রেক্ষিতে খুবই গুরুত্বপূর্ণ।মেয়ে একটু বড় হলেই সবার আগে বিয়ের ভাবনা আসে বাবা মায়ের মনে। দরিদ্র পরিবারে ভাবা হয় মেয়ে বিয়ে দিলে একটি খাওয়ার মুখ কমবে। অন্যদিকে মেয়েদেরকে উপার্জনক্ষম মানুষ হিসেবে গড়ে না তোলায় সংসারে তাদেরকে বোঝা মনে করা হয়। এসব কারণে মেয়েশিশুকে বাড়তি ঝামেলা মনে করে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বিয়ে দেয়ার নামে তাকে বিদায় করা হচ্ছে। রাস্তাঘাটে যৌন নির্যাতন বা বখাটেদের উৎপাতের কারণেও অভিভাবকেরা তড়িঘড়ি করে মেয়ের বিয়ে দিয়ে নিশ্চিন্ত হতে চান। এভাবেই বাড়ছে বাল্যবিবাহ।
বাল্যবিবাহ নিরোধের জন্য আইন আছে, কিন্তু বাস্তবে এই আইনের কার্যকর প্রয়োগ হচ্ছে না। আইনগত নানা জটিলতার কারণে বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করাও সম্ভব হচ্ছে না। এছাড়া বাল্যবিবাহ যে হয়েছে সবার আগে একথা প্রমাণ করা প্রয়োজন। আর এজন্য দরকার বর বা কনের বয়স নির্ণয় করা। অভিভাবকরা নানা কারণে ইচ্ছেমতো ছেলে কিংবা মেয়ের বয়স বাড়ায় কিংবা কমায়। ফলে কোথাও বাল্যবিবাহ হলে তা প্রমাণ করা প্রায়ই অসম্ভব হয়ে পড়ে।
বাল্যবিবাহের কুফল:
বাস্তবে আমাদের দেশে কোনো কোনো শিশুর এতো অল্প বয়সে বিয়ে হয় যখন তাদের কাছে বিয়ের অর্থই পরিষ্কার থাকে না। শারীরিক ও মানসিক পূর্ণতাপ্রাপ্তির আগেই বাল্যবিবাহের শিকার হয় বিশেষ করে মেয়েরা। বাল্যবিবাহের খেসারত ছেলেমেয়ে উভয়কে দিতে হলেও মেয়েদের জীবনে এর কুফলের পরিধি ও মাত্রা ভয়াবহ এবং ব্যাপক। বাল্যবিবাহের মধ্য দিয়ে এক ঝুঁকিপূর্ণ ও দুর্দশাগ্রস্ত দাম্পত্য জীবনের দিকে মেয়েশিশু বা কিশোরীকে ঠেলে দেয়া হয়। অল্প বয়সী মায়েরাই বেশি মাতৃমৃত্যুর শিকার হয়। জীবন সম্পর্কে অনভিজ্ঞ নারী সংসারে নানাভাবে নির্যাতিত হয়। তার শিক্ষা ও দক্ষতা লাভের পথ রুদ্ধ হয়ে যায়। জীবিকার সংগ্রামে পিছিয়ে পড়ে নারী। দক্ষ শ্রমিক থেকে বঞ্চিত হয় পরিবার-সমাজ-অর্থনীতি। তাই বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে আইনের যথাযথ প্রয়োগের পাশাপাশি সামাজিক আন্দোলন জোরদার করা প্রয়োজন।
দেশের কিশোরীদের প্রায় ৩০ থেকে ৫০ শতাংশই অপুষ্টির শিকার হয়ে থাকে। বিয়ের পর পরই স্বামী ও অন্যরা সন্তানের মুখ দেখতে চায়। এক বা দুই বছরের মধ্যে সন্তান না হলে স্বামী যদি বংশরক্ষার জন্য আবার বিয়ে করে ফেলে, সে জন্য মেয়ের বাড়ি থেকেও সন্তান নেওয়ার জন্য মেয়েটিকে চাপ দিতে থাকে। কিন্তু এই অপুষ্ট মা কম ওজনের সন্তানের জন্ম দেয়। নবজাতক মারা যায়, সম্ভবণা ৮০%। মারা না গেলেও মা ও সন্তানের অসুখ লেগেই থাকে। চিকিৎসার খরচ, পরিবারের লোকজনের কাজ কামাই দেওয়াসহ বিভিন্ন কারণে অর্থনৈতিক ক্ষতি শুরু হয়। এতে নেতিবাচক অবস্থা চলতেই থাকে পরিবারটিতে।
ইউনিসেফ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, মেয়েদের বাল্যবিবাহের কারণে বছরে প্রায় ২ লাখ শিশুর জন্ম হয় স্বল্প ওজন ও মারাত্মক অপুষ্টি নিয়ে, মায়েরও স্বাস্থ্যহানি ঘটে। ইউনিসেফ পরিসংখ্যানে দেখা গেছে গর্ভধারণ সংক্রান্ত জটিলতায় বাংলাদেশে বছরে প্রতি হাজারে ৫ জন মা মারা যাচ্ছে। অথচ এ হার জাপানে প্রতি লাখে ১ জন। এছাড়া আমাদের দেশে জন্মের সময় প্রতি হাজারে ৯০ জন শিশু মারা যায় ও এক মাস বয়েসী শিশু মারা যায় ৭০ জন। উন্নত দেশে এ অবস্থায় শিশু মারা যায় ১০ হাজারে ১ জন।
অল্প বয়সে বিয়ে এবং মা হওয়ার সবচেয়ে বড় ঝুঁকি হচ্ছে জরায়ু ছিঁড়ে যাওয়াসহ জরায়ুতে ক্যান্সার হওয়ার আশংকা তৈরি হয়। অন্যদিকে আবার সন্তান লালন-পালন সংক্রান্ত জ্ঞান অর্জনের আগেই বাল্যবিবাহ হলে সন্তানেরা মায়ের সঠিক পরিচর্যা থেকেও বঞ্চিত হয়। বাল্যবিবাহ স্কুলে যাওয়ার উপযোগী সন্তানদের শিক্ষার অধিকার থেকেও বঞ্চিত করে। অথচ এই শিক্ষাই মানবসম্পদ হওয়ার প্রতি গ্রহণের জন্য একটি খুবই জরুরি চাহিদা। বাল্যবিবাহের ফলে বিশেষ করে মেয়েদের পড়াশোনা বন্ধ হয়ে যায়। মেয়েশিশুদের ব্যক্তিগত বিকাশ বা উন্নয়নের পথ রুদ্ধ করে ফেলে বাল্যবিবাহ। আর এ বঞ্চনার ফলে অবশেষে সমাজ ও পরিবার মেয়েশিশুদের ভবিষ্যৎ সৃষ্টিশীল অবদান থেকে বঞ্চিত হয়। বাল্যবিবাহ মেয়েদের যৌন ও প্রজনন স্বাস্থ্যেরও হানি হয়। অন্যদিকে মেযেরা তাদের যৌন ও প্রজনন অধিকার থেকেও বঞ্চিত হয় থাকে।
উল্লেখ্য, বাংলাদেশ সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে ‘বাল্যবিয়ে” এবং ‘জোর করে বিয়ে’ বন্ধ করার ব্যাপারে অঙ্গীকারবদ্ধ।