প্রান্ত সরকার, দৌলতপুর প্রতিনিধি, দৌলতপুর, খুলনা।
গতকাল বিকাল ৩ টা নাগাদ দৌলতপুরের পাবলায় কৃষ্ণা(২৩) নামে ওই তরুণীর মৃতদেহ ঝুলে থাকতে দেখেন পুলিশ। মেয়েটি পাবলার আসাদ মঞ্জিলে একটা মেসে ভারাটিয়া ছিলেন। তার বোন এবং প্রতিবেশী সূত্রে জানা যায় যে, মেয়েটির বাড়ি সাতক্ষীরা সদর উপজেলার পাটকেল ঘাটায়, তিনি খুলনা সরকারি ব্রজলাল কলেজে সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ৩য় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। ফাঁস হিসেবে ওরনাকে বেছে নিয়েছেন তিনি।
মেয়েটি ওই রাতে রুমে একাই ছিলেন।মেসের অন্য সদস্যরা বলেন, গত ৩০/১০/২০২১ দিবাগত রাতে মেয়েটিকে স্বাভাবিক মনে হয়েছে। তখন দেখে মনে হয়নি যে, কোন মানষিক চাপে রয়েছে। পরেরদিন সকালে অনেক বেলা পর্যন্ত দরজা বন্ধ দেখে মেসের অন্য সদস্যরা পুলিশকে খবর দেন, এবং পুলিশ এসে ঘরের দরজা ভেঙে এলাকার কিছু লোকের সাহায্যে লাশটিকে নিচে নামায় এবং নামানোর পূর্বেই মেয়েটির বাড়িতে খবর দেয়া হয়। প্রাথমিক ধারণা মতে ওইদিন রাতেই ফাঁস দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে জানতে গিয়ে জানা যায় এটা প্রেম ঘটিত ব্যাপার। মেয়েটির বয়ফ্রেন্ড এখন পলাতক। প্রতিবেশীরা ছেলেটির সম্পর্কে কিছু জানে না। আর পরিবারের কেউ এই বিষয়ে কথা বলতে চায়নি। মেয়ের বাবা কন্যা বিয়োগের শোকে কথা বলার মতো অবস্থায় ছিলেন না। গতকাল লাশ পোস্টমর্টেমের জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এখনো পোস্টমর্টেমের রিপোর্ট আসে নাই।