লকডাউনে তরুণদের মাঝে নতুন উদ্যোগ

0
46

খালিদ আহমেদ রাজা:

প্রতিটি সফল মানুষের ব্যর্থতার গল্প আছে। একবারে কেউ সফল হতে পাড়েনি। সফল উদ্যোক্তা, রাজনীতিবিদ, শিল্পী, লেখক, বিজ্ঞানী – যার কথাই বলা যাক, সবাইকেই ব্যর্থতার কঠিন পথ পাড়ি দিয়ে অবশেষে সফল হতে হয়েছে। আবার এই সাফল্য পাওয়ার পরও অনেকে আবার ব্যর্থ হয়েছেন। আবারও তাঁরা উঠে দাঁড়িয়েছেন, এবং আবার সফল হয়েছেন। এইসব সফল মানুষের সবার মধ্যেই একটা আশ্চর্য মানসিক শক্তি আর আত্মবিশ্বাস আছে। যত বড় ব্যর্থতার মুখেই তাঁরা পড়েন না কেন – কখনওই কাজ করা বন্ধ করেন না। কখনওই তাঁরা বিশ্বাস হারান না। তাঁদের এইসব ব্যর্থতার গল্প থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। প্রতিটি গল্প থেকেই অনুপ্রেরণা নেয়ার মত কিছু না কিছু আছে। ঠিক তাদের গল্প তুলে ধরতেছি আজ, ২০২০ সালের জুলাইয়ের সময় যখন কভিড-১৯ এ যখন সারাবিশ্ব নাজেহাল করেছিল, লকডাউনের কারণে নিজের নিরাপত্তার জন্য ঘরবন্দি সবাই। তখন সবাই অসহায়। এই অবসরে কি করা যায় তা নিয়ে সারাক্ষণ মাথায় ঘুরপাক খায় নানা চিন্তা। সেই চিন্তা থেকে একেক জন একেক ধরনের ক্রিয়েটিভ কাজ শুরু করেছেন। ‘ট্রেডিশনাল৬৪ডটকম’ নামের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান তৈরি করে কাজ শুরু করেছে বেশ কয়জন তার মধ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালের ছাত্র জাহিদ হাসান, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের মাহামুদুল হাসান শাওন, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সঞ্জয় কুমার। লকডাউনে এই অবসরে কোন কিছুর করার চিন্তা থেকে দেশব্যাপীর জন্য। বাংলাদেশের ৬৪ জেলার বিখ্যাত পণ্যগুলোকে অন্যান্য জেলায় জনপ্রিয় ও সহজলভ্য করার জন্য গড়ে তুলেছেন “ট্রেডিশনাল৬৪ডটকম” নামের ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান। তবে মজার বিষয় হলো গ্রামের ঐতিহ্যবাহী যে খাবার গুলো আছে তা সারা বাংলাদেশে বিভিন্ন জায়গায় পৌচ্ছানো ও পরিচিতি করাই আমাদের প্রধান লক্ষ। তার মধ্যে খাঁটি সরিষার তেল, কুড়িগ্রামে পাঁট শাকের শুকতানি সহ নানা খাবার।

ধরা যাক বগুড়ার বিখ্যাত ”দই”, কি ভাবে সংগ্রহ করবেন? https://www.facebook.com/traditional64 ট্রেডিশনাল৬৪ডটকম গিয়ে অডার করলেই ঘরে পৈাচ্ছে যাবে আপনার খাবার পণ্যটি। বর্তমানে বিভিন্ন জেলা থেকে আমাদের পেইজ এ অডার আসতেছে।
এই দিকে সঞ্জয় কুমার সহ তার সহকর্মীরা জানান: ‘ট্রেডিশনাল৬৪ডটকম’ নামের ই কমার্স প্রতিষ্ঠান তৈরি করে কাজ শুরু করছি, সাড়াও পেয়েছি।” আমাদের ফেসবুকে পেইজ ভিজিট করে দেখতে পারেন বিভিন্ন জেলার বাহারি সকল পণ্যের সমাহার রয়েছে। বর্তমানে ও সামনে ব্যাপক পরিসরে কাজ করার পরিকল্পনা করতেছি আমরা। গ্রামের ঐতিহ্যবাহী খাবার গুলো তুলে ধরবো আমরা।