কুড়িগ্রাম প্রতিনিধি: কুড়িগ্রাম জেলার উলিপুর উপজেলার মন্ডলেরহাট উচ্চ বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আবুল কালাম আজাদ লিটন। কত স্বপ্ন ছিল লিটনের করোনার ছুটি শেষে স্কুলে যাবে। আজ স্কুল খোলা কিন্তু লিটন পড়ে আছে হাসপাতালের বেডে। ধীরে ধীরে যেন মৃত্যু পথযাত্রী হচ্ছে।
ঠিকমতো চোখ খুলতে না পারা, সঙ্গে হাঁটা-বসা বন্ধ। দিন যত যায় বাড়তে থাকে লিটনের রোগযন্ত্রণা।লিটনের বুকের ডান পাশে হাড় ফুটো। এ পরিস্থিতিতে দিনমজুর মা-বাবার সংসারে নেমে আসে দুর্যোগের ঘনঘটা।
হতদরিদ্র মা-বাবা মেধাবি লিটন নিয়ে বিপাকে পড়েন। সন্তানকে ঘিরে সংসারে ছিল সুখ। সেই লিটনের রোগে শোকে নিরুপায় দিনমজুর বাবা রিয়াজুল ইসলাম। কী করবেন? কোথায় যাবেন? তা নিয়ে চোখের পানি ফেলে দিন কাটছে। কথা বলতে গেলেই নিজের সন্তানের চিকিৎসার জন্য ভিক্ষা চেয়ে কান্নায় ভেঙে পড়েন অসহায় মা জোসনা খাতুন।
বুধবার দুপুরে রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে দেখা হয় লিটনের পরিবারের সঙ্গে। সেখানকার ১ নং ওয়ার্ডের ৫ নং বেডে তার চিকিৎসা চলছে। ডাক্তারা বলেছেন দ্রুত তার ওপেন হার্ট সার্জারী করতে হবে। এতে প্রায় ৬ লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কিন্তু এ অপারেশন করার মত সামর্থ্য তাদের নেই।
সংসারে আয়-রোজগারের বিকল্প পথ না থাকায় দিনমজুর বাবা রিয়াজুল ইসলাম সন্তানের এই অপারেশনের এতো টাকা যোগাতে পারছেন না। এজন্য সমাজের বিত্তবান ও দানশীল মানুষদের কাছে আর্থিক অসহায় চেয়ে প্রতিনিয়ত কাঁদছেন মা জেসমিন। চিকিৎসা সহায়তার আকুতি জানিয়ে সাগরের আত্মীয়রাও মানুষের দুয়ারে দুয়ারে হাত বাড়াছেন।
লিটনের নিকট আত্মীয় নান্নু সময়েরপাতাকে বলেন, দীর্ঘদিন ধরেই লিটন অসুস্থ। তার বাবার সামর্থ্য নেই চিকিৎসা করাবে। ভাই যদি একটু এগিয়ে আসে সুচিকিৎসা করা সম্ভব হবে। লিটন সুস্থ হয়ে উঠবে।
লিটনের চিকিৎসার জন্য কেউ সহযোগিতা করতে চাইলে তার মা (01787992369) সঙ্গে যোগাযোগ করতে পারবেন। বিকাশ নম্বরে (01944285667) সহায়তা করা যাবে।