গাজীপুর প্রতিনিধিঃ ভালোবাসা নিয়ে বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলেছিলেন, ভালোবেসে সখী নিভৃত যতনে আমার নামটি লিখো তোমার মনেরও মন্দিরে।
কিন্তু মাঝে মধ্যে যখন এই ভালোবাসাই খবরের হেডলাইন হয়ে যায় তখন মনে হয় ঐসময়ের কবি মনিষিরা শুধু ভালোবাসার আবেগটাই দেখেছিলো কিন্তু নির্মমতা হয়তো লক্ষ্য করেনি। তাহলে হয়তো নিষ্ঠুরতা আর নির্মমতা নিয়ে কবিতা রচনা করতো।
ঠিক তেমনই এক বর্বরতার ঘটনা ঘটেছে গাজীপুরের মনিপুর এলাকায়, প্রেমের_বিয়ে, স্ত্রীকে তিন টুকরা করলো স্বামী!
গাজীপুরের মনিপুরে স্ত্রী রেহেনাকে তিন টুকরো করলো পাষন্ড স্বামী জুয়েল। রবিবার মনিপুরের বিভিন্ন স্থান থেকে রেহেনা আক্তারের তিন টুকরা মরদেহের উদ্ধার করে জয়দেবপুর থানা পুলিশ। জানা গেছে, গত দুই বছর আগে বাড়ী থেকে পালিয়ে জুয়েলকে বিয়ে করেন রেহানা আক্তার।
বিয়ের পর সুনামগঞ্জ থেকে এসে তারা গাজীপুরের মনিপুর এলাকায় একটি বাড়িতে ভাড়া থাকেন। জানা গেছে, সুনামগঞ্জ জেলার বিশ্বাম্ভরপুর থানার পলাশ ইউনিয়নের বাতেন এর ছেলে জুয়েল,এবং রেহানা একই এলাকার আবদুল মালেকের মেয়ে।
গেলো বৃহস্পতিবার সাংসারিক কলহের এক পর্যায়ে টয়লেটের দরজা আটকে আত্মহত্যা করে রেহানা। পরে স্বামী জুয়েল ফেসে যাওয়ার ভয়ে স্ত্রীর লাশ তিন টুকরা করে বিভিন্ন স্থানে লুকিয়ে রাখে।
এ বিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক নাজমুল হুদা জানান, ওই এলাকার স্থানীয়রা পুলিশকে খবর দিলে ঘটনাস্থলে আমরা যাই এবং নিহতের স্বামীকে আটক করা হয়। ঘটনা তদন্ত করে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।