
আরিফুল ইসলাম,রাঙামাটি জেলা প্রতিনিধি
পার্বত্য চট্টগ্রামের সকল জাতি-ধর্মের মানুষের স্বার্থ রক্ষায় নিবিেদত” এই শ্লোগানে কেক কাটা ও আলোচনা সভাসহ নানা আয়োজনে রাঙামাটি জেলায় পালিত হয়েছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের ২য় প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী।
এ উপলক্ষে আজ ৫ ডিসেম্বর রবিবার সকালে রাঙামাটি শহরের ডিপ্লোমা ইনসিস্টিটিউটে কেক কাটার মধ্য দিয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকীর সূচনা হয়।
এতে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ রাঙামাটি জেলার সভাপতি শাব্বির আহম্মেদ, অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মোঃ সোলায়মান, সিঃ সহ সভাপতি নাদিরুজ্জামান , সহ- সভাপতি আমীর মোঃ সাবের, রবিউল আলম রবি, কাজী জালোয়া, পার্বত্য চট্টগ্রাম মহিলা পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ মোরশেদা আক্তার, জেলা সভাপতি সালেহা আক্তার, সাধারণ সম্পাদক আসমা মল্লিক সাংগঠনিক সম্পাদক লাভলী আক্তার, পার্বত্য চট্টগ্রাম ছাত্র পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটির সিঃ সহ- সভাপতি মোঃ হাবিব আজম, প্রচার সম্পাদক তাজুল ইসলাম, জেলা আহ্বায়ক কমিটির সদস্য সচিব মামুনুর রশীদ মামুন, ছাত্রনেতা মাইনুদ্দীন, মোঃ সজীব, প্রমুখ।
এই সময় বক্তারা বলেন, রক্তের হোলিখেলায় মেতে উঠেছে ৩০ হাজার বাংগালীর খুনী সন্তু লারমা, এখন তার স্ব-জাতিরাও খুনী সন্তু লারমা ও প্রসিদ খিসার দল ইউপিডিএফ ও জেএসএস এর নিকট নিরাপদ নয়, অতিসত্বর খুনের দায়ে খুনী সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদের চেয়ারম্যান পদ থেকে অপসারণ ও তাকে বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে ফাঁসি কার্যকর করতে সরকারের প্রতি আহবান জানিয়েছেন সংগঠনের নেতারা।
নেতৃবৃন্দ আরো বলেন অতিদ্রুত প্রত্যাহার কৃত সকল সেনা- ক্যাম্প পূনঃস্থাপন করে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে এবং সেনাবাহিনী, র্্যাব,বিজিবি, পুলিশ বাহিনীর যৌথ চিরুনী অভিযানের মাধ্যমে পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সকল অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে।
পার্বত্য চুক্তির পুর্বশর্ত ছিলো পাহাড়ে কোন অবৈধ অস্ত্র থাকবেনা, যেহেতু খুনী সন্তু লারমা অস্ত্রের ঝনঝনানি ও খুনের মাধ্যমে চুক্তি ভঙ্গ করেছে তা-ই অচিরেই এই চুক্তির পুনঃমূল্যায়ন করে সকল জাতি গোষ্ঠীর সম-অধিকার নিশ্চিত করা হউক ।