প্রেসক্লাবে হামলার প্রতিবাদে রাজপথে কলমযোদ্ধারা

0
8

ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রতিনিধি: ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হামলা, ভাঙচুর এবং প্রেসক্লাবের সভাপতি রিয়াজ উদ্দিন জামির উপর নারকীয় আক্রমণের প্রতিবাদে প্রতিবাদ সমাবেশ ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন স্থানীয় সাংবাদিক মহল।

আজ মঙ্গলবার (৩০ মার্চ) বেলা ১১টায় প্রেসক্লাব চত্বর থেকে বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়ে শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে আয়োজিত এক প্রতিবাদ সমাবেশে সাংবাদিকরা এই নারকীয় হামলার তীব্র নিন্দা ও ধিক্কার জানান।

প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক মানব জমিন পত্রিকার জেলা প্রতিনিধি জাবেদ রহিম বিজন তার বক্তব্যে বলেন, ” এই হামলায় প্রতিবাদের ভাষা আমার জানা নেই। আন্দোলনকারীরা ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে গ্লাস ভেঙ্গেছে, কম্পিউটার ভেঙ্গেছে, সিসিটিভি খুলে নিয়েছে আর সবশেষ জামি ভাইকে আওয়ামী লীগের দালাল বলে তার উপর রামদা নিয়ে হামলা করেছে। আবার তারা আজ আমাদের কাছে নিজেদের অবস্থান তুলে ধরতে প্রেস কনফারেন্সের সুযোগ চেয়েছেন। কিন্তু কোথায় আপনারা প্রেস মিট করবেন সবই যে এখন ধ্বংসযজ্ঞ।”

যতদিন হেফাজত নিজেদের সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বন্ধ না করবে ততদিন তাদের সব সংবাদ বয়কটের কথাও জানান বক্তারা। প্রশাসনের ভূমিকাকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা হয় এই সমাবেশের মাধ্যমে।

প্রতিবাদ সভায় উপস্থিত ছিলেন চ্যানেল আইয়ের জেলা প্রতিনিধি মনজুরুল আলম, প্রেস ক্লাবের সাবেক সভাপতি খ আ ম রশিদুল ইসলাম, সাবেক সাধারণ সম্পাদক দীপক চৌধুরী বাপ্পী, বর্তমান সহ- সভাপতি এবং এটিএন বাংলার পূর্বাঞ্চলীয় বুর‍্যো চীফ পীযুষ কান্তি আচার্য, বাচিক শিল্পী মনির হোসেন, প্রথম আলোর জেলা প্রতিনিধি শাহাদত হোসেন, কালের কণ্ঠের জেলা প্রতিনিধি বিশ্বজিত পাল বাবু সহ সর্বস্তরের সাংবাদিকরা।

উল্লেখ্য, হেফাজতে ইসলামের হামলা, ভাঙচুর এবং অগ্নিসংযোগের ধারাবাহিকতায় গত রোববার (২৭ মার্চ) দুপুরে আন্দোলনকারীদের একটি দল ব্রাহ্মণবাড়িয়া প্রেসক্লাবে হামলা ও ভাঙচুর চালায়। এসময় সংগঠনটির সভাপতি ও চ্যানেল টুয়েন্টি ফোরের জেলা প্রতিনিধি রিয়াজ উদ্দিন জামির উপর “আওয়ামীলীগের দালাল” বলে ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করতে চেষ্টা করে। পরে ব্যার্থ হয়ে লাঠি দিয়ে তাঁর মাথায় উপর্যুপরি আঘাত করে দুর্বৃত্তরা। পরবর্তীতে তাঁর মাথায় ছয়টি সেলাই লাগে। একই দিন দৈনিক আমাদের সময়ের জেলা প্রতিনিধি আবুল হাসনাত মো. রাফি সংবাদ সংগ্রহের কাজে গেলে তার মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করা হয়। এর আগের দিন (২৬ মার্চ) সংবাদ সংগ্রহের সময় পৃথক ঘটনায় অন্দোলনকারীদের মাধ্যমে শারিরিক নির্যাতনের স্বীকার হন দ্য ডেইলি স্টারের জেলা প্রতিনিধি মাসুক হৃদয় ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাপার্সন সুমন রায়। উল্লেখ্য পাথরের আঘাতে সুমন রায়ের দাঁত ভেঙে যায়।

ইতোমধ্যেই বাংলাদেশে পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি মো. আনোয়ার হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনে এসে এসব ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি ও যথাযথ পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্তের কথা জানিয়ে গেছেন।