খালিদ আহমেদ রাজা:
ময়মনসিংহের ধোবাউড়া উপজেলার প্রত্যেন্ত গ্রাম কলসিন্দুর থেকে উঠে আসা নারী ফুটবলারদের গল্প এবার জায়গা করে নিয়েছে দেশের পাঠ্যবইয়ে। নতুন শিক্ষাবর্ষের একাদশ-দ্বাদশ শ্রেণির ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে উঠে এসেছে সানজিদা আক্তার, মারিয়া মান্দা, তহুরা খাতুনদের জীবন যুদ্ধ ও সাফল্যের কথা। শুধু নারী ফুটবলারদের গল্প ছাড়াও এবারের ইংরেজি পাঠ্যবইয়ে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পুত্র শেখ কামাল, ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দেওয়া সাতারু ব্রজেন দাস ও এভারেস্ট জয়কারী নিশাত মজুমদারের সাফল্যের গল্প তুলে আনা হয়েছে।
নিজেদের ফুটবল জীবনের গল্প পাঠ্যবইয়ে জায়গা পাওয়ায় সামাজিক যোগাযোগ-মাধ্যমে উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেছেন সানজিদা-মারিয়ারা। সানজিদা আক্তার তার অফিসিয়াল ফেসবুক পেজে লিখেছেন, ‘কলসিন্দুরের এলাকার মেয়ে হিসেবে আমি খুব গর্ব অনুভব করছি।
প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন অনুর্ধ্ব-১৯ নারী সাফজয়ী দলের অধিনায়ক মারিয়া মান্দা। ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি অনেক কৃতজ্ঞ। বইয়ের পাতায় ফুটবল কন্যাদের গল্প দেখে উচ্ছ্বসিত ধোবাউড়া উপজেলার কলসিন্দুর উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও।
গারো পাহাড়ের পাদদেশ থেকে কলসিন্দুরসহ আশে-পাশের কয়েকটি গ্রাম থেকে উঠে এসেছে একদল তরুণ কিশোরী। ফুটবল পেয়েছে আলোর দেখা তাদের পায়ের জাদুতে। ২০১১ সালে বঙ্গমাতা টুর্নামেন্ট দিয়ে শুরু করে বিশ্ব জয়ের দ্বারপ্রান্তে এই কিশোরী মেয়েরা। দেশের হয়ে বিভিন্ন টুর্নামেন্ট জিতে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে অদম্য।
সহকারী শিক্ষক উজ্জ্বল চন্দ্র পাল জানান, আরও আগেই এদের সাফল্যের গল্প পাঠ্যবইয়ে তোলার প্রয়োজন ছিল। কারণ, খুব কষ্ট করে প্রত্যেন্ত গ্রাম থেকে এ পর্যন্ত তারা এসেছে। এদেরকে দেখেই অন্য মেয়েরা খেলাধুলায় উৎসাহ পাবে। দেরীতে হলেও তাদের নাম পাঠ্যবইয়ে অন্তর্ভুক্ত করায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রীকে কৃতজ্ঞতা জানান।
একই বিদ্যালয়ের সহকারী অধ্যাপক ও নারী ফুটবল দলের ম্যানেজার মালা রানী সরকার বলেন, এরা রোদ-বৃষ্টিতে ভিজে অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে এ পর্যন্ত আসতে পরেছে। পাঠ্য বইয়ে এদের গল্প তুলে ধারায় আরও উৎসাহ পেয়েছে। আমারও এদের জন্য গর্বিত।