
হিজবুল্লাহ (حزب الله) একটি লেবানিজ শিয়া ইসলামিক রাজনৈতিক ও সামরিক সংগঠন, যা ১৯৮২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এর প্রতিষ্ঠার মূল উদ্দেশ্য ছিল ইসরায়েলের আগ্রাসনের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তোলা এবং লেবাননের শিয়া সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করা।
প্রতিষ্ঠা ও ইতিহাস:
– **১৯৮২**: ইসরায়েলের প্রথম লেবানন অভিযানের প্রেক্ষাপটে হিজবুল্লাহ প্রতিষ্ঠা পায়। সংগঠনটি মূলত ইরানের ইসলামী বিপ্লব দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়।
– **প্রাথমিক কার্যক্রম**: প্রথম দিকে, হিজবুল্লাহ সশস্ত্র প্রতিরোধ আন্দোলন হিসেবে কাজ শুরু করে, এবং দ্রুত এটি একটি শক্তিশালী সামরিক শক্তিতে পরিণত হয়।
রাজনৈতিক ভূমিকা:
– হিজবুল্লাহ লেবাননের রাজনৈতিক প্রক্রিয়ায় সক্রিয়ভাবে জড়িত। এটি ১৯৯২ সালে প্রথমবার নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে এবং লেবাননের পার্লামেন্টে আসন লাভ করে।
– সংগঠনটি রাজনৈতিক অঙ্গনে কিছু সমাজসেবা প্রকল্পও বাস্তবায়ন করে, যেমন শিক্ষা ও স্বাস্থ্য সেবা।
সামরিক শাখা:
– হিজবুল্লাহর সামরিক শাখা, যা “মুজাহিদিন” নামেও পরিচিত, লেবাননের দক্ষিণে এবং এর আশেপাশের অঞ্চলে ব্যাপকভাবে সক্রিয়।
– এটি ইসরায়েলের সাথে কয়েকটি যুদ্ধ করেছে, যার মধ্যে ২০০৬ সালের লেবানন যুদ্ধ উল্লেখযোগ্য।
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক:
– হিজবুল্লাহ ইরান থেকে ব্যাপক সমর্থন পায়, যা তাকে সামরিক এবং রাজনৈতিক উভয় ক্ষেত্রেই শক্তিশালী করে।
– আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অনেক দেশ হিজবুল্লাহকে একটি সন্ত্রাসী সংগঠন হিসেবে চিহ্নিত করেছে, তবে লেবাননের অনেক লোক তাদের প্রতিরোধের আন্দোলন হিসেবে দেখতে পায়।
সমালোচনা:
– সংগঠনটির কার্যক্রমের ফলে লেবাননে এবং অঞ্চলে সংঘাতের সৃষ্টি হয়েছে, এবং এটি অনেক রাজনৈতিক ও সামাজিক সংকটের কারণ হয়েছে।
হিজবুল্লাহ এখন একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক ও সামরিক গঠন, যা লেবাননের সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।