দেশের সর্ববৃহৎ মাদক আইস চালান চক্রের ৫ গ্রেপ্তার

0
1

মোঃখায়রুল ইসলাম (হৃদয়), (গজারিয়া,মুন্সিগঞ্জ)

মিয়ানমার থেকে চোরা পথে দেশে নিষিদ্ধ মাদক আইস প্রবেশ করান ৫ সদস্যের এক সিন্ডিকেট,যার বর্তমান বাজার মুল্য ৫০ কোটি টাকার ও বেশি। বর্তমানে বিশ্বে সবচেয়ে ব্যয়বহুল মাদক নামে পরিচিত আইস (ক্রিস্টানলেথ) মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে প্রবেশ করান জসিম সহ এক মাদক চক্র যার বাজার মুল্য আনুমানিক ৫০ কোটি টাকার বেশি।

গত বুধবার রাতে ঢাকা থেকে র‍্যাব এর একটি আভিযানিক দল গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার নিকটবর্তী জেলা মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলার কাজিরগাঁও এলাকায় অভিযান চালান।

অভিযানে প্রায় ৫০ কোটি টাকার আইস জব্দ করেন তারা।সে সময় আইস সহ মাদকদ্রব্য ইয়াবা, চেতনানাশক ঔষধ ইনজেকশন, দুটি বিদেশি অস্ত্র সহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে র‍্যাব। আটক করা মাদকের পরিমান আইস ছিলো ১২কেজি, ইয়াবা এক লক্ষ পিস,চেতনানাশক ইনজেকশন ছিল প্রায় ৩০০ প্যাকেট,এবং দুটি বিদেশি অস্ত্র,সিগন্যাল এর জন্য ব্যবহৃত ২টি টচ লাইট।

আটককৃত চক্রের প্রধান ছিল জসিম। তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়,তারা আইস,মাদকদ্রব্য এবং চেতনানাশক ঔষধ মিয়ানমার থেকে এনেছেন ঢাকার উদ্দেশ্যে।তারা প্রথমে সেন্টমার্টিন দ্বীপে কয়েকদিন জেলে সেজে অবস্থান করেন।মিয়ানমার থেকে নৌ রোডে আসা ট্রলার থেকে সিগ্নাল এর মাধ্যমে তারা তা রিসিভ করেন। তারপর নোয়াখালীর হাতিয়া দ্বীপে কিছুদিন তারা অবস্থান করেন মাদকসহ। অবস্থা বুঝে তারা নৌ রোডে এবাবে দেশের বিভিন্ন জেলায় এই মারাত্মক আইস মাদক পাঁচার করে আসিতে ছিলো চক্রটি।

চক্রটি রাজধানী ঢাকার আশেপাশের জেলাগুলোকে তারা প্রথমে টার্গেট করে সেখানে অবস্থান করে ঢাকার উদ্দেশে, নৌ,পথে মেঘনা নদীর ধরে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া উপজেলায় তারা এই মাদক নিয়ে আসিতেছে এরকম তথ্যের ভিত্তিতে র‍্যাব এর একটি আভিযানিক দল সেখানে অবস্থান করে বিশেষ টেকনিকে ৫০ কোটি টাকার মাদক আইস সহ বিভিন্ন মাদক, বিদেশি পিস্তল সহ ৫ জনকে আটক করিতে সক্ষম হন।

গতকাল বৃহস্পতিবার ঢাকায় র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান, মাদক চালানে ৫ জনের প্রধান দিলেন জসিম।সমুদ্র উপকূলীয় এলাকায় তার একটি লবণের আড়ৎ আছে।লবনের ব্যবসায়ের আড়ালে প্রায় ৭ বছর ধরে মিয়ানমার থেকে মাদক দ্রব্য দেশে আনিতেছিলো। তবে মাদক দ্রব্য আইস এর সাথে জড়িত ২ বছর ধরে।তাদের চক্রে কাজ করে প্রায় ১২/১৩ জনের মত।