সাংবাদিকের পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে হত্যার হুমকি, থানায় মামলা

0
4

গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে, ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের  ২ নং সিএনবি বাজার এলাকার এসকিউ সেলসিয়াস লি: কারখানায়,  ঝুট ব্যবসাকে কেন্দ্র করে বিএনপির দুই পক্ষের সংঘর্ষের ভিডিও ধারণ করার সময়, যমুনা টেলিভিশনের গাজীপুর জেলা প্রতিনিধি হুসাইন আলী বাবুর পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে মোবাইল ও ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে  ধারনকৃত ভিডি ডিলিট করে এবং প্রকাশ্যে হত্যার হুমকি দেয় অভিযুক্ত সন্ত্রাসীরা। এসময় ঐ সাংবাদিকসহ একাধিক গণমাধ্যম কর্মীদেরকেও লাঞ্ছিত করে মোবাইল ছিনিয়ে নেয় তারা। এই ঘটনায় পরবর্তীতে যমুনা টিভির জেলা প্রতিনিধি সাংবাদিক হুছাইনআলী বাবু বাদী হয়ে থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন।অভিযোগের আলোকে পরবর্তীতে দুইজনের নাম উল্লেখ করে থানায় মামলা রজু হয়। অভিযুক্ত  আসামিরা হলেন  টেপির বাড়ি এলাকার আলাল উদ্দিনের ছেলে ১. আরিফুল (৩০) অপরজন মাওনা এলাকার ২.ফয়সাল পিতা অজ্ঞাত সহ ১৫/২০ জন অজ্ঞাতনামা আসামি। 

ঘটনাসূত্রে জানাযায়, গত বুধবার সকালে উপজেলার ২নং সিএন্ডবি বাজার এলাকায় এসকিউ সেলসিয়াস লিঃ নামক সোয়েটার কারখানার ঝুট ব্যবসার ওয়ার্ক অর্ডার পান যুবদল নেতা পলাশ। সকালে তার লোকজন কারখানায় ঝুট বের করতে যান । এসময় জেলা  কৃষক দলের আহ্বায়ক  আবুল কালাম আজাদ ও তার লোকজন পলাশের লোকজনকে বাঁধা দেয়। এক পর্যায়ে কৃষক দল ও যুবদলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের সূত্রপাত হয়। উত্তেজিত শত শত হামলাকারি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কে অবস্থান নিয়ে অবরোধ সৃষ্টি করে রাখে। এসময় ভাঙচুর করা হয় তিনটি প্রাইভেটকারসহ বেশ কিছু গাড়ি। সংঘর্ষ চলাকালে কয়েক রাউন্ড  ফাঁকা গুলি ছুড়ে এবং বেশ কয়েকটি ককটেলের  বিস্ফোরণ ঘটানো হয়।  ককটেল এবং ইট পাটকেলের আঘাতে আহত হন দুই গ্রুপের বেশ কিছু নেতাকর্মী। এসময় যমুনা টেলিভিশনের সরাসরি লাইভ সম্প্রচারের সময় জেলা প্রতিনিধি হোসাইনআলী বাবুর পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে মেরে ফেলার হুমকিদেয় কালাম বাহিনীর সন্ত্রাসী আরিফুল ও ফয়সাল সহ অজ্ঞাত সন্ত্রাসীরা । এছাড়াও বেশ কয়েকজন গণমাধ্যমকর্মীদের মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে লাঞ্ছিত করে তারা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

ঘটনার বিষয়ে মামলার বাদী সাংবাদিক হোসাইন আলী বাবু বলেন, ঘটনার দিন অর্থাৎ ২৫/০৯/২০২৪ ইং সকাল অনুমান ৮টার সময় শ্রীপুর থানাধীন, ২নং সিএন্ডবি ঢাকা ময়মনসিংহ মহাসড়কের পশ্চিমে এস কিউ সেলসিয়াস লিমিটেড সোয়েটার এর সামনে, পোশাক শিল্পের সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ে লাইভ শেষ করে, পরবর্তী লাইভের জন্য অপেক্ষা করতে থাকে। সকাল অনুমান দশটার সময় উক্ত ফ্যাক্টরির দুই পাশে দুইটি পক্ষ জড়োট ব্যবসার দখল নিয়ে দেশীয় অস্ত্রে সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে জড়ো হতে থাকে। একপর্যায়ে উভয় পক্ষের মধ্যে ইট পাটকেল নিক্ষেপ সহ ধাওয়া-পাল্টা,ধাওয়া  শুরু হলে সাংবাদিক হোসাইন আলী বাবু তার পেশাগত দায়িত্ব পালন করার জন্য ঘটনার ভিডিও ধারণ করতে থাকে। এমতাঅবস্থায় অজ্ঞাতনামা ২০ থেকে ২৫ জন উশৃংখল প্রকৃতির যুবক ধারালো দ্বারা লাঠি আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে তাকে পথ রোধ করে ভিডিও ধারণ করতে বাধা দেয়। ওই সময় আরিফুল ইসলাম ও তার সহযোগী ফয়সাল তার পেটে পিস্তল ঠেকিয়ে এবং ঘারে রাম দা ধরে হত্যার হুমকি দেয়। এসময় তার সাথে থাকা মোবাইল এবং ভিডিও ক্যামেরা ছিনিয়ে নিয়ে চলেযায় তারা। এবং প্রকাশ্যেই এই বলে হুমকি দেয় যদি কোন নিউজ প্রচার হয় তাহলে তাকে জানে মেরে ফেলবে। এসময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন শ্রীপুরের দায়িত্বরত ডিজিএফআই  মইনুল ইসলাম। পরিস্থিতি ব্যাগতই দেখে তারা দৌড়ে পালায়। 

এবিষয়ে শ্রীপুর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জয়নাল আবেদীন  জানিয়েছেন,ঘটনার বিষয়ে থানায় মামলা রজু করা হয়েছে,।আসামীকে দূত সময়ের মধ্যে গ্রেফতারের তত্পরতা চলছে।সাংবাদিককে অস্ত্র ঠেকিয়ে হুমকি দেয়ার বিষয়ে

তিনি জানিয়েছেন বেআইনি অস্ত্র উদ্ধারের পর মামলার এজাহারে ধারা পরিবর্তন করে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।