শ্রীপুরে জমি জবরদখল, বসতবাড়িতে হামলা 

0
2

গাজীপুর প্রতিনিধি :
গাজীপুরের শ্রীপুরে জমি জবরদখলকে কেন্দ্র করে বসতবাড়িতে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে পরিবারের নারী সদস্যসহ আহত হয়েছেন কয়েকজন। রবিবার সকালে পৌরসভার ৪ নং ওয়াড দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকায় এই ঘটনা ঘটে। পরে এই হামলার ঘটনায় ভুক্তভোগীর ৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত শতাধীককে আসামী করে শ্রীপুর মডেল থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করেন । উল্লেখ্য, জমিসংক্রান্ত বিরুদে একই ঘটনায় এর আগেও থানায় অভিযোগ করা হয় কিন্তু অভিযোক্তরা প্রভাবশালী ও আওয়ামিলীগের নেতা হওয়াতে কোন সুবিচার পাইনি ভোক্তভোগীর পরিবার। অভিযুক্তরা হলেন, দক্ষিণ ভাংনাহাটির মৃত মনসুর আলীর ৩ ছেলে, ১.মহসিন খন্দকার (৫৭),২.মোরশেদ খন্দকার (৫৩)এবং  ৩.হাসান খন্দকার(৫০)।৪. দক্ষিণ ভাংনাহাটি এলাকার জালাল উদ্দিনের ছেলে আসাদুল ইসলাম, একই এলাকার বাবুল পিতা অজ্ঞাত সহ গোসিংগা ইউনিয়নের খিলপাড়া গ্রামের মৃত সাহাজ উদ্দিন সরকারের ছেলে শরিফ উদ্দিন সরকার।এছাড়াও এছাড়াও আসামি করা হয় অজ্ঞাতনামা শতাধিক হামলাকারীদের। জোর করে জমি জবরদখল ও হামলার ঘটনার বিষয়ে অভিযোগকারী সিদ্দিক জানান,বিবাদীরা আওয়ামিলীগ সরকারের আমলে জোর করে আমার নানার বাড়ির সম্পত্তি দখলে নেয়। ঐসময় দখলে বাধা দিলে আমার মামাতো ভাই আনোয়ার ও বোন রেহেনা বাধা দিলে তাদের এলোপাতাড়ি দেশীয় অস্ত্র ও দা লাঠি দিয়ে আঘাত করে গুরুতর জখম করে। পরে এই ঘটনায় আমার মামাতো ভাই বাদি হয়ে থানায় অভিযোগ করলেও অভিযোগ আমলে নেয়নি পুলিশ। ফলে কোন তদন্তও আসেনি ঘটনাস্থলে। জোর করে জমি দখল দিয়ে সেই জমিতে রাতের আধারে  বাউয়ান্ডারী করে বিবাদীরা। ঘটনাস্থলে আমি উপস্থিত হয়ে বাধা দিলে আমাকেও অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ সহ ভেদরক মারধর করে। জবরদখলের বিষয়ে ভুক্তভোগী আনোয়ার বলেন, আমার পৈত্রিক সম্পত্তি জোর করে জবরদখল করে সীমানা প্রাচীর করেছে কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য খন্দকার মোহসীন। তার ক্ষমতার দাপটে আমরা আমাদের পৈত্রিক সম্পত্তিতে যেতেও পারছিনা। প্রতি নিয়তই হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে তারা। ঘটনার দিন অর্থাৎ রবিবার সকাল অনুমান ১১ টার দিকে তারা আমার বসতবাড়িতে অনধিকার প্রবেশ করে ব্যাপক ভাংচুর চালায় এবং চলে যাওয়ার সময় হত্যার হুমকি দিয়ে চলে যায়। 
এই ঘটনার সঠিক বিচারের দাবী জানিয়েছেন ভোক্তভোগী আনোয়ার ও তার পরিবার। 
বসত বাড়িতে হামলা ভাঙচুর ও জমি জবর দখলের ঘটনায় অভিযুক্ত মহসিন খন্দকারের সাথে যোগাযোগের চেষ্টা করলে মোবাইলে একাধিক বার কল দিয়েও যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।