রাণীনগরে স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত।। প্রক্সি দিতে এসে পেলেন চাকরি

0
20

স্টাফ রিপোর্টার : নওগাঁর রাণীনগরের পারইল উচ্চ বিদ্যালয়ে নিয়োগ পরীক্ষায় অন্যের হয়ে প্রক্সি (পক্ষে পরীক্ষা) দিতে এসে ১৭.৬ নম্বর পেয়ে পরিচ্ছন্নতাকর্মী পদে চাকরি পেলেন বিপুল চন্দ্র। তার নিকটতম প্রার্থী বিকাশ চন্দ্র পাল পেয়েছেন ১৭.৩ নম্বর। এমন ঘটনা ওই এলাকায় ব্যাপক আলোড়নের জন্ম দিয়েছে।

শনিবার (৬ এপ্রিল) শতভাগ স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয় এই নিয়োগ পরীক্ষা। যেহেতু বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সাবেক সভাপতি বিভিন্ন অনিয়মের অভিযোগ এনে এই নিয়োগ পরীক্ষা স্থগিত করার জন্য লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছিলেন সেহেতু সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে শতভাগ স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে অনুষ্ঠিত করার লক্ষ্যে কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করে।

এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে যেন কোনো পক্ষ কোনো বিশৃঙ্খলার সৃষ্টি করে নিয়োগ প্রক্রিয়াকে প্রশ্নবিদ্ধ করতে না পারে এবং পরীক্ষার শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় থাকে সেজন্য স্থানীয় সাংসদের পক্ষ থেকে একাধিক প্রতিনিধিরাও নিয়মানুসারে নিরাপদ দূরত্ব বজায় রেখে পরীক্ষাস্থলে উপস্থিত ছিলেন। তিনটি পদে অনুষ্ঠিত নিয়োগ পরীক্ষায় অন্য দুটি পদে উত্তীর্ণ হয়ে নিরাপত্তাকর্মী পদে নিয়োগ পেয়েছেন মামুনুর রশিদ ও আয়া পদে নিয়োগ পেয়েছেন রাবেয়া বাশরী।

বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আব্দুস সাত্তার বলেন স্থানীয় সাংসদ ও জেলা প্রশাসক স্যারের নির্দেশনা মোতাবেক সম্পন্ন স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে। নতুন নিয়মানুসারে নিয়োগ কমিটির সদস্য হিসেবে ছিলেন জেলা প্রশাসক স্যারের প্রতিনিধি, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা, বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও দায়িত্বরত সদস্য সচিব।

দুপুরে বিদ্যালয় প্রাঙ্গনে কমিটির সদস্যরা প্রশ্নপত্র তৈরি করে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যদিয়ে পরীক্ষা গ্রহণ করা হয়। এরপর সকল প্রক্রিয়া শেষে বিকেলে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করা হয়। নিয়োগ পরীক্ষায় যেহেতু আমার ছেলে একজন প্রার্থী ছিলো তাই নিয়মানুসারে আমাকে পরীক্ষার সকল কার্যক্রমের বাইরে রাখা হয়েছিলো।

চাকরি পাওয়ার পর নিজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করতে গিয়ে পারইল গ্রামের অতুল চন্দ্রের ছেলে স্নাতক (বিএ) পাশ বিপুল চন্দ্র বলেন, তিনি কখনো কল্পনা করেননি যে কারো পক্ষে প্রক্সি দিতে এসে নিজেই চাকরি পাবেন। তিনি মূল প্রার্থী বিশ্বজিত চন্দ্র সাহার পক্ষে প্রক্সি পরীক্ষা দিতে এসেছিলেন। শতভাগ স্বচ্ছতা ও মেধার ভিত্তিতেই নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন করা হয়েছে বলে এমন বিরল ঘটনার জন্ম হয়েছে। প্রথমেই মহান সৃষ্টিকর্তার প্রতি ও পরে পরীক্ষা সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি অশেষ কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন বিপুল চন্দ্র।#