
আওরঙ্গজেব হোসেন রাব্বী, স্টাফ রিপোর্টার: নওগাঁর রাণীনগরে দেড় বছর পর খোলা বাজারে ওএমএস’র চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। মঙ্গলবার উপজেলায় তিনটি ওএমএস ডিলার দোকানের মাধ্যমে এ চাল বিক্রি শুরু করা হয়। দীর্ঘদিন পর এই কার্যক্রম চালু হওয়ায় নিম্নআয়ের মানুষের মাঝে স্বস্তি দেখা দিয়েছে।
নিম্নআয়ের মানুষেরা জানান, বাজারে দিন দিন চালের দাম বেড়েই চলেছে। এর মধ্যে বাজারের দামের চাইতে ওএমএস দোকানে অর্ধেক দামে (৩০ টাকা কেজি) চাল পাওয়া যাচ্ছে। এতে করে অসহায় দুস্থ ও নিম্নআয়ের মানুষের উপকৃত হবেন।
উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলা ওএমএস’র তিনটি ডিলার। উপজেলা বাসস্ট্যান্ড, রেলগেট ও সিম্বা বাজারে তিনটি ডিলার দোকানের মাধ্যমে ওএমএস চাল বিক্রি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তিনটি ডিলার দোকানে প্রতিদিন দুই মেট্রিকটন করে চাল বরাদ্দ। শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে এ চাল বিক্রির কার্যক্রম চলবে।
সিম্বা বাজারে ওএমএস দোকানে চাল কেনার সময় জাম্মাদ আলী বলেন, বাজারে মোটা চাল ৫৫ থেকে ৬০ টাকা কেজি দরে কিনতে হয়। সেখানে ওএমএস দোকানে আমরা ৩০ টাকা কেজিতে চাল পাচ্ছি। আমি ওএমএস চালের দোকান থেকে বাড়িতে খাওয়ার জন্য ৩০ টাকা কেজিতে চাল কিনতে পেরে অনেক খুশি। এই কার্যক্রম সারা বছর চালু রাখার দাবি তার।
সিম্বা বাজারের ওএমএস ডিলার শাকিল প্রামানিক বলেন, প্রথম দিনেই চাল কিনতে দোকানে ক্রেতারা ব্যাপক ভিড় করছে। আমরা চেষ্টা করছি সুশৃঙ্খলভাবে চাল বিক্রির কার্যক্রম চালিয়ে যেতে।
রাণীনগর উপজেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রক কর্মকর্তা ওবায়দুল ইসলাম বলেন, দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর উপজেলায় ওএমএস চাল বিক্রির কার্যক্রম শুরু হয়েছে। শুক্রবার, শনিবার ও সরকারি ছুটির দিন বাদে প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত ওএমএস দোকান খোলা থাকবে। এলাকার অসহায়, দুস্থ, নিম্নআয়ের মানুষসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষ তিনটি ডিলার দোকান থেকে ৩০ টাকা কেজি দরে প্রতিদিন একজন সর্বচ্চো ৫ কেজি চাল কিনতে পারবেন।