খাজা মযেনউদ্দিন চিশতিঃ কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে ব্যাপকভাবে বাদামের চাষ করেছেন চরাঞ্চলের কৃষকগণ। বিগত বন্যায় এই চরাঞ্চলের ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হলেও বাদাম চাষ করে লাভের আশা করতেছেন চরাঞ্চলের কৃষকগণ।
১৬টি নদ-নদীর অববাহিকায় গড়ে উঠেছে কুড়িগ্রাম জেলা। এই জেলার বেশির ভাগই জমি চরাঞ্চলে। এক সময় এই চরাঞ্চল পরিত্যক্ত অবস্থায় পড়ে থাকলেও ঘনঘন বন্যার কারণে চরাঞ্চলে পলিমাটি পড়ায় কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের সহায়তায় চরাঞ্চলের কৃষকগণ চাষাবাদ শুরু করেছেন চরের জমি গুলোতে। শীত মৌসুমে চাষাবাদ হয়েছে রবিশস্য। বেশি লাভের আশায় চরের কৃষকগণ বাদাম চাষ করেছেন। বাদামের বাম্পার ফলনে তাদের বেশি লাভ হয় বলে জানান কৃষকগণ। অনেক কৃষক জানায় সরকারিভাবে আর্থিক সুবিধা পেলে তারা ব্যাপকভাবে বাদাম চাষ করে দেশের বাদামের ঘাটতি কমাতে পারবেন। তারা আরো জানান, সরকারিভাবে কৃষি কর্মকর্তা আমাদেরকে পরামর্শ দেওয়ার জন্য চরাঞ্চলে আসেন না। বাদামের রোগ বালাই নির্ণয়ে আমরা অনেক সঠিক পরামর্শ পাই না। কৃষি কর্মকর্তাদের সার্বিক সহযোগীতা পেলে হয়তো আমরা বাদামের চাষের ব্যাপক ফলন ঘটাতে পারব। এছাড়াও কৃষি ঋণের দাবি করেন কৃষকগণ।
এ ব্যাপারে কুড়িগ্রাম কৃষিসম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মকবুল হোসেনের সাথে কথা হলে তিনি জানান, কুড়িগ্রাম জেলার চরাঞ্চলে আগাম জাতের ঢাকা-১ বাদাম চাষ করা হয়েছে। বর্তমানে বাদমের ফলনও ভালো।বাদাম চাষে কৃষকদের ব্যাপক লাভ হবে বলে আশা করেন। মাঠ তদারকির জন্য কর্মকর্তাদেরকেও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বলে তিনি জানান।