জাকির ইসলাম মিন, কাউনিয়া (রংপুর) প্রতিনিধি ঃ
সারাদেশ করোনা ভাইরাসের কারণে স্থবির হয়ে পড়েছে, সরকার এই মহামারি থেকে দেশের জনগণকে সচেতন এবং ভাইরাস থেকে রক্ষা করতে একের পর এক বিধিনিষেধ আরোপ করছে। আর এই বিধিনিষেধ মানতে গিয়ে সাধারন মানুষ কর্মহারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। আর এই বেকার মানুষ গুলো যখন অসুস্থ হয়ে পড়েন তখন দৌড়ে আসে হাসপাতালে। হাসপাতালে এসেই প্রথমে হোচট খায় দালালের খপ্পরে। কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ডাক্তার দেখার জন্য রোগী প্রতি তিন টাকা করে নেয়ার কথা থাকলেও কাউন্টারে বসা লোকজন গ্রামের এসব গরীব মানুষের কাছে ফি নিচ্ছে ৫টাকা করে।
গতকাল কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে গিয়ে দেখা যায় কাউন্টারে গিয়ে দেখা যায় কয়েকজন লোক তর্ক করছে। ভেলুপাড়া থেকে আসা সাইফুল ইসলাম নামের একজন রোগী বলেন, আমার ভাই অসুস্থ তাকে ডাক্তার দেখানোর জন্য টিকিট নিচ্ছি। কিন্তু কাউন্টারে বসা লোক ৩ টাকার বদলে ৫ টাকা করে নিচ্ছে। কারণ জানতে সে আমার উপর ক্ষীপ্ত হয়ে বলেন আমরা ৫ টাকা করেই নেই।
একই কথা বলেন মধুপুর থেকে আসা হামিদুল ইসলাম। তিনি বলেন, করোনার কারণে এমনিতে কাজ কর্ম নাই। তার উপর হাসপাতালের এমন অনিয়ম কাম্য নয়।
এসময় কাউন্টারে বসা কাউনিয়া বালিকা উচ্চবিদ্যালয়ের শিক্ষক শহিদুল ইসলাম বলেন, খচরা টাকা নেই তাই ৫ টাকা করে নেয়া হয়। স্কুলের শিক্ষক হাসপাতালের কাউন্টারে বসা কেন জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমার স্ত্রী এখানে চাকরি করে। গত কয়েকদিন থেকে সে আসে না তাই তার পরিবর্তে আমি অফিস করছি।
হাসপাতাল সূত্রে জানাগেছে, কাউনিয়া হাসপাতালে প্রতিদিন গড়ে ২ থেকে আড়াই শত লোক সেবা নিতে আসেন।
এ ব্যাপারে কাউনিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ মীর হোসেন বলেন, টিকিটের মূল্য বেশি নেয়ার বিষয়টি আমি জানি। তাদেরকে অনেকবার নিষেধ করা হয়েছে। এরপরও যদি এমন করে থাকে তাহলে কেউ লিখিত অভিযোগ দিলে ব্যবস্থা নেয়া হব। কাউন্টারে নির্ধারিত লোকের পরিবর্তে অন্য লোক বসার কোন নিয়ম নাই।