রাজীবপ্রধান,শ্রীপুর-(গাজীপুর) প্রতিনিধি :-
গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন আঞ্চলিক ও মহাসড়কে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিক্সা। ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট আর দুর্ঘটনার ঝুঁকি। সরেজমিনে দেখা যায় উপজেলার মাওনা চৌরাস্তা ও তার আশপাশের এলাকাগুলোতে নিয়ন্ত্রণহীন ভাবে চলাফেরা করছে অটোরিকশা।এই
অটোরিক্সার বেশিরভাগ চালকই অদক্ষ বয়স্ক কিংবা কিশোর চালক। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চালনার ক্ষেত্রে তাদের প্রাতিষ্ঠানিক কোন অভিজ্ঞতা না থাকায় এবং ট্রাফিক আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞতা না থাকায় নিজেদের ইচ্ছামতই হঠাৎ করে রাস্তার মাঝ থেকে ইউটার্ন নিয়ে উল্টা পথে ধাবিত হয়। ফলে পিছন থেকে আসা যেকোনো জান আরোহী কিংবা মোটরবাইক আরোহীরা এসে দুর্ঘটনার শিকার হচ্ছে। অনেকক্ষেত্রে দেখা যায় ঘটনাস্থলেই আরোহীর মৃত্যু ঘটে।জরিপে দেখা যায় শ্রীপুর উপজেলার বিভিন্ন স্থানে অনুমুধনহীন প্রায় দশ হাজার ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা রয়েছে। পুলিশ বলছে, তারা ব্যাটারি রিক্সার বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে। তবে স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশ ও একশ্রেণীর রাজনৈতিক নেতাদের ম্যানেজ করে চলছে এই যান। নিষিদ্ধ এসব ব্যাটারিচালিত রিক্সার কারণে প্রতিদিনই ঘটছে নানা দুর্ঘটনা। অপরদিকে, ব্যাটারি রিক্সার কারণে বিদ্যুতের অবৈধ ব্যবহারও বাড়ছে। বৈদ্যুতিক মোটরচালিত এসব রিক্সায় ব্যাটারির চার্জ দিতে গিয়ে অবৈধ বিদ্যুতের সংযোগও বাড়ছে। যার ফলে ঘটে অগ্নিসংযোগের মতো ঘটনা। সড়ক দূর্ঘটনা প্রতিদিনই ঘটছে এসমস্ত অবৈধ ব্যাটারি চালিত অটোরিকশার জন্য। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা গুলোর বেপরোয়া গতির কারণে অধিকাংশ ক্ষেত্রে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে দুর্ঘটনার কবলে পড়ছেন। মহাসড়ক কিংবা আশেপাশের আঞ্চলিক সড়কগুলোর কারণ বিশ্লেষণ করলে দেখা যায় অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মুখোমুখি সংঘর্ষ ঘটাচ্ছে এই সমস্ত ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা। ফলে জীবনের ঝুঁকি ৯৯ ভাগই বেড়ে যাচ্ছে। ২০১৭ সালে যখন আইন করে মহাসড়কে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ করা হয়েছিল তখন এর সংখ্যা ছিলো অর্ধেকেরও কম। আইন করার পর হাইকোর্টও এক আদেশে এসব যান চলাচল নিষিদ্ধ ঘোষণা করে পুলিশকে কিছু নির্দেশনা দিয়েছিলেন। কিন্তু কোনো নিষেধাজ্ঞাই কার্যকর হয়নি। সিন্ডিকেটের কারণে বরাবরই ভেস্তে গেছে সরকারের উদ্যোগ।