হাবিপ্রবির ভর্তি পরীক্ষাকে কেন্দ্র করে সক্রিয় জালিয়াতি চক্র

0
2526

মহিউদ্দিন নুর দিনাজপুর প্রতিনিধি: পাবলিক ভার্সিটির ভর্তি পরীক্ষা প্রায় শেষ । উপাচার্য জটিলতায় আটকে আছে শুধুমাত্র হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা ।এখানে এবার ২ হাজার সিটের বিপরীতে আবেদন পড়েছে প্রায় ৯৬ হাজার, যা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ । অনেকেই শেষ ভরশা হিসেবে তাকিয়ে আছে হাবিপ্রবির দিকে । এমতাবস্থায় শিক্ষার্থীদের আবেগকে পুঁজি করে সক্রিয় হয়ে উঠেছে কিছু জালিয়াতি চক্র । এরা বিভিন্ন নামে ফেসবুকে ফোন নম্বর দিয়ে এসব প্রচারণা শুরু করেছে । এরকম কিছু প্রমান আমাদেরও হাতে এসেছে , এসব নম্বরে পরীক্ষার্থী সেজে ফোন দিয়ে কথা বললে সহজেই অনুমান করতে পারবেন । চাওয়া হচ্ছে ৫০ হাজার থেকে ৫ লাখ টাকা পযন্ত । এসব আইডির মধ্যে বাপ্পি চৌধুরী নামে একটি আইডি সবচেয়ে বেশি সক্রিয় ।তার সাথে কথা বললে সে একেক জনকে একেক রকম পরিচয় দিচ্ছে , কাউকে বলে সে ঢাবিতে পড়ে , কাউকে বলে হাবিপ্রবির মার্কেটিং ডিপার্টমেন্টে পড়ে । কিন্তু খোজ নিয়ে দেখা যায় , কোনটাই সঠিক না ।তাকে ফোন দিলে সবাকেই বলে তার অধীনে ১৫ জন পরীক্ষা দেবে , আর ২/১ জন বাকি আছে , যা করার তারাতারি করার জন্য । সবচেয়ে ভয়ঙ্কর বিষয় হল , সাকিব (ছদ্মনাম) নামে একজন পরীক্ষার্থী আমাদের কাছে অভিযোগ করেন তার কয়েকজন বন্ধু ইতোমধ্যে এই প্রতারকের কাছে বিকাশের মাধ্যমে টাকাও দিয়ে দিয়েছে । অনেককে বলা হচ্ছে প্রশ্ন দেয়া হবে , কাউকে বলা হচ্ছে তোমার জায়গায় অন্য কেউ পরীক্ষা দেবে , কাউকে বলা হচ্ছে ইলেকট্রনিক ডিভাইস দেয়া হবে ।বাপ্পি চৌধুরীর মতো আরো এরকম বেশ কিছু আইডি আছে । এ ব্যাপারে হাবিপ্রবির প্রক্টরের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান এ ধরনের প্রতারক চক্র সব জায়গায় সক্রিয় থাকে । এদের কাজ ফাদে ফেলে টাকা হাতিয়ে নেয়া , তিনি পরীক্ষার্থীদেরকে এসব থেকে দূরে থাকতে বলেন , বলেন যারা এদের ফাদে পা দেবে তারা নিজের ভবিষ্যৎ নিজ হাতে ধ্বংস করবে । আমরা এ ব্যাপারে সজাগ আছি এবং ভর্তি পরীক্ষার সময় কঠোর নজরদারি থাকবে , এ ধরনের কাউকে পেলে সাথে সাথে তাকে ভ্রাম্যমাণ আদালতের হাতে তুলে দেয়া হবে । আর কোন পরীক্ষার্থী বা ক্যাম্পাসের যে কেউ চাইলে এদের বিরুদ্ধে মামলা করতে পারে ।তবে সময়েরপাতা মনে করে এদেরকে ধরা গোয়েন্দাদের জন্য খুব কঠিন কাজ হবেনা , যেহেতু ফোন নম্বর খোলা আছে তাই ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে সহজেই এদেরকে খুজে বের করা যাবে । একজনকে ধরে রিমান্ডে নিলে এর পেছনে কারা কারা আছে , কে কে টাকা দিয়েছে সবই বের হয়ে আসবে । আমরা চাই বিশ্ববিদ্যালয় হোক সত্যিকারের মেধাবিদের জায়গা , কেউ দুর্নীতি করে যেন এখানে আসতে না পারে । অনেক পরীক্ষার্থীই এ ব্যাপারে দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন ।