
দিনাজপুর প্রতিনিধিঃ গত ১১ জুন ডিগ্রীর নাম পরিবর্তনের দাবীতে অন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে সাবেক ভাইস চ্যান্সেলর সহ তার সমর্থক দের সাথে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে এবং সে ঘটনায় ছাত্রী শ্লীলতাহানির অভিযোগ আসে শিক্ষার্থী দের কাছ থেকে, এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তেজিত হয়ে শিক্ষার্থীরা সাবেক উপাচার্যের অফিস কক্ষের জানলা ভাঙচুর করে।পরবর্তীতে তারা লিখিত অভিযোগ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে জমা দেন। এ ব্যাপারে তদন্ত কমিটি গ্রহন করা হয়েছে বলে জানা যায়। এই ঘটনার প্রতিবাদে আজ প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের নেতারা এক সকাল ১১ টায় এক মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন এর আয়োজন করে।এসময় তারা বর্তমান উপাচার্য প্রফেসর ড. মু.আবুল কাসেম এর উপর অভিযোগ এনে বলেন গত দিন যাকিছু ঘটেছে তা বর্তমান উপাচার্যের মদদে ঘটেছে। এ সময় তারা আরো বলেন বর্তমান ভাইস চ্যান্সেলর শিক্ষিক, ছাত্রলীগ , কর্মকর্তা, কর্মচারীদের আলাদা করেছেন বলে অভিযোগ আনেন। তারা বলেন ছাত্রীদের শ্লীলতাহানি র অভিযোগ ভিক্তিহীন । অন্যদিকে ছাত্রী শ্লীলতাহানির শাস্তি চেয়ে ইতোমধ্যে মানব বন্ধন ও সংবাদ সম্মেলন করেছে এগ্রিকালচার এন্ড এগ্রিবিজনেস এর শিক্ষার্থীরা ও সকল ছাত্রীরা এবং এ সময় তারা সরকারের উচ্চ পর্যায়ের কাছে এ ব্যাপারে বিচার দাবী করেন । তারা এর সুষ্ঠ তদন্ত দাবী করে বিচার কার্য সম্পন্ন করার দাবী জানান। এদিকে ছাত্রলীগ নেতা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের শিক্ষা ও পাঠ্যচক্র বিষয়ক সম্পাদক তারেক চৌধুরী এবং তাজউদ্দীন হল শাখা ছাত্রলীগের অর্থ সম্পাদক রবিউল ইসলাম রবি বলেন ছাত্রলীগকে বিভক্ত করেছেন সাবেক ভিসি রুহুল আমিন , তার সময় থেকেই ছাত্রলীগ দুভাগে বিভক্ত এবং তিনি সব সময় এক গ্রুপকেই তার সমর্থন দিতেন। প্রগতিশীল শিক্ষক ফোরামের আনিত অভিযোগের ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড মুঃ আবুল কাসেমের দৃষ্টি আকর্ষন করা হলে তিনি বলেন এসব বক্তব্য পুরোপুরি ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিমূলক। তিনি বলেন আমি সাবেক উপাচার্যকে সম্মান করি তাই তাকে নিয়ে মিডিয়ার সামনে কখনো কিছু বলিনি অথচ আমি যোগদান করার দিনই তিনি আমার বাসায় যেয়ে বলেছিলেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা নাকি সিদ্ধান্ত নিতে ভুল করেছেন। আর ক্যাম্পাসের ছাত্রলীগ আগে থেকেই বিভক্ত কারন আমি যেদিন আসি সেদিন ক্যাম্পাস থেকে কিছু ছাত্র আমার সাথে এয়ারপোর্ট এ দেখা করেন।আর যেদিন জয়েন করি সেদিন ও আলাদা আলাদা ভাবে তারা আসেন আমার সাথে দেখা করতে।আর আমি সব সময় আমার প্রক্টর,এডভাইজার সবাইকে নিয়ে চেয়েছি কিভাবে তাদের একত্রে আনা যায়। ড্রাইভার ও বডিগার্ড কে পরিবর্তন করার পর তিনি আমার কাছে এসে জানতে চান আমি কেন পরিবর্তন করেছি !!! আমি এই বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য , আমার ড্রাইভার কে হবে , পিএস কে হবে , গার্ড কে হবে সেটা কি নির্ধারন করবেন সাবেক উপাচার্য ? আমি সবসময় তাকে সাথে নিয়ে চলতে চেয়েছি কিন্তু তার কথা হলো আমাকে তার সব কথা মেনে চলতে হবে । তিনি কয়েকজন শিক্ষককে নিয়ে একটা সিন্ডিকেট তৈরি করেছেন যাদের বিরুদ্ধে বিভিন্ন অভিযোগ আছে।অভিযোগ পেয়েছি কয়েকদিন আগে তারা ছাত্রীদের নাকি শ্লীলতাহানি করেছেন যা সত্যিই লজ্জাজনক , এই শ্লীলতাহানি ও ভাংচুরকে কেন্দ্র করে তদন্ত কমিটি হয়েছে , এখানে যার দোষ পাওয়া যাবে তার বিরুদ্ধেই ব্যবস্থা নেয়া হবে । মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও রাষ্ট্রপতি আমাকে এখানে পাঠিয়েছেন , আমি কাজ করতে চাই কিন্তু আমার প্রতিটি কাজেই বাধা প্রদান করা হচ্ছে , ক্যাম্পাস অস্থিতিশীল করার চেষ্টা করা হচ্ছে যা দুঃখজনক। আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের উন্নয়নে বদ্ধ পরিকর ।