
সময়ের ডেস্ক ঃ বছর বছর দিবস পালন হচ্ছে। দাবী জানানো হচ্ছে অধিকার আদায়ের। তারই ধারাবাহিকতায় প্রতি বছর ১মে জাতীয় শ্রমিক দিবসও পালন হচ্ছে। কিন্তু শ্রমিকরা কি এখনো পর্যন্ত তাদের ন্যায্য অধিকার ফিরে পেয়েছে? মালিক পক্ষের স্বেচ্ছাচারিতা, শোষন আর মিল-ফ্যাক্টরীর সামগ্রী হিসেবেই ব্যবহৃত হচ্ছে শ্রমিককুল।
এখনো ঈদের আগে বেতন-বোনাসের জন্য রাজপথে আন্দোলন করতে হচ্ছে শ্রমিক নামের গরীব অসহায় মানুষগুলোর। কখনো কখনো অধিকার আদায়ের শ্লোগানে শ্রমিকদের উপর গুলিও চলে এ দেশে!
শ্রমিকদের জন্য একটি মন্ত্রনালয় রয়েছে আমাদের দেশে। সে মন্ত্রনালয়ই যথেষ্ট শ্রমজীবী মানুষদের অধিকার প্রতিষ্ঠায়। তারা চাইলে পারেন ‘মালিক-শ্রমিক ভাই ভাই’র শ্লোগানকে বাস্তবে রুপ দিতে।
পুঁজিবাদরা কখনোই শ্রমিকের প্রাপ্য মজুরী দিবে না। তাই পুঁজিবাদমুক্ত উৎপাদন/অর্থব্যবস্থা চাই আমরা। পুঁজিবাদদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ না করলে, শ্রমজীবীরা কখনো উঠে দাঁড়াতে পারবে না।
বঙ্গবন্ধুর একটি ভাষণ শুনেছিলাম, যেখানে তিনি শ্রমজীবী মানুষদেরকেই দেশ এগিয়ে নেয়ার মূল চালিকা শক্তি হিসেবে উপস্থাপন করেছিলেন। কিন্তু এতোকিছুর পরও দেশে শ্রমিকরাই বেশী অবহেলিত। কেনো? ত্রুটি কোথায়? কিসের অভাবে এ বৈষম্য?
উত্তরে একটি কথাই বলবো, ইসলামী শ্রমনীতির অভাব। আমরা চাই কুরআন সুন্নাহ ভিত্তিক শ্রমনীতি বাস্তবায়নের মাধ্যমে শ্রমিকদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠা পাক এবং পুঁজিবাদগোষ্ঠী নিপাত যাক।