ঝিনাইদহতে এক টাকা ও দুই টাকার ধাতব মুদ্রা বা কয়েন নিয়ে রীতিমত দূর্ভোগে

0
57

মাহামদুল কবির (নয়ন), ঝিনাইদহ জেলা প্রতিনিধি:

ঝিনাইদহ জেলায় হাট-বাজার ও দোকানের কেনাবেচায় এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন নিয়ে অচল হয়ে পড়েছেন এ জেলার সাধারণ মানুষ। যাতায়াতের ছোট-খাট পরিবহন যেমন- রিক্সা, ভ্যান, ও অটো চালকরাও ভাড়া নেওয়ার সময় এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন নিতে অনাগ্রহী বা অনীহা প্রকাশ করেন। ছোট-বড় যেকোন ব্যাবসা প্রতিষ্ঠানে ও ক্রেতা-বিক্রেতার মধ্যে এই মুদ্রা নিয়ে একটা তুমুল সংঘর্ষ দেখা যায়। কোন পক্ষই নিতে রাজি না এসব ধাতব মুদ্রা। এই জেলায় এই ধাতব মুদ্রা নিয়ে মানুষের সজ্ঞে কথা বললেই এই সব তথ্য বেরিয়ে আসে। লেনদেন বা কেনাকাটায় কাগজের নোটের পাশাপাশি বাজারে প্রচলিত যেকোন মূল্য মানের কয়েন যে কেউ নিতে বাধ্য। কিন্তু ঝিনাইদহতে এসব মুদ্রা লেনদেন না হওয়ায় রীতিমতো দুর্ভোগে পড়েছেন ব্যবসায়ীরা। অর্থ্যাৎ হাজার হাজার কয়েন পড়ে আছে ব্যবসায়ীদের কাছে। এনিয়ে তারা হতাশায় ভুগছেন। ঝিনাইদহের হাট বাজার, সব্জী বাজার,ও মুদি দোকানদার সহ সাধারণ মানুষরা ও এইসব মুদ্রা নিয়ে সমস্যায় রয়েছেন। সবচেয়ে বেশি সমস্যায় রয়েছেন ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীরা। ঝিনাইদহ শহরের সি,এম,বি পুকুর পাড়ের পাশের এক চায়ের দোকানি মোঃ আব্দুল হামিদ বলেন, কয়েক বছর যাবৎ এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন ঝিনাইদহতে অচল হয়ে গেছে।

কেউ নিতে চাই না এসব মুদ্রা। তাই অসংখ্য ব্যবসায়ীদের কাছে বিপুল পরিমান কয়েন জমে আছে। কিন্তু দুই টাকার কয়েন গুলো ও নিতে চাচ্ছেনা কোন ব্যাংক। এ ব্যাপারে কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব) ঝিনাইদহ জেলা শাখার সভাপতি আমিনুর রহমান (টুকুর) কাছ থেকে জানতে চাইলে তিনি জানান, বাজারে প্রচলিত যে কোন মুল্যবানের কয়েন যে কেউ নিতে বাধ্য। স্থানীয় প্রশাসনের মাধ্যমে এইসব মুদ্রা চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়া হবে। আর যে নিতে চাইবে না,তাকে আইনের মাধ্যমে শাস্তি দেওয়া হবে। কারণ ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বা সাধারণ মানুষের কাছে প্রচুর পরিমান কয়েন পড়ে আছে। যার কারনে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহক ও ব্যবসায়ী উভয়ই।শুধু তাই নয়, এতে অর্থনীতির গতিশীলতা ও নষ্ট হচ্ছে। ঝিনাইদহ এক টাকা ও দুই টাকার কয়েন কেন চলে না, এর কারণ জানা নাই কারও। কেউ এসব মুদ্রা নিতে চাইনা বলে ভোগান্তিতে পড়েছেন এ জেলার মানুষরা।

স্থানীয় প্রশাসনের নিকট জন কল্যাণের স্বার্থে এসব মুদ্রা চালুর বিষয়ে পদক্ষেপ নেওয়ার আহবান জানিয়েছেন ঝিনাইদহের ভোগান্তিক গ্রাহক ও বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান।