ক্রেডিট কার্ডের মরণফাঁদে গ্রাহক

0
66

ব্যাংকগুলোর মহাজনী মনোভাবের
কারণে ‘প্লাস্টিক মানি’ ক্রেডিট
কার্ড দেশের মানুষের কাছে এক
আতঙ্কের নাম। ব্যাংকগুলোর
বিক্রয় প্রতিনিধিদের মিষ্টভাষার
ফাঁদে পড়ে সঙ্কটে
ব্যবহারকারীরা। চটকদার
বিজ্ঞাপনে চরম প্রতারণার
শিকার হয়ে চলেছেন তারা বছরের
পর বছর। ব্যাংকগুলো ইতোমধ্যে ৮
লাখের বেশি লোককে এই ‘ক্রেডিট
কার্ড’ নামীয় ঋণের জালে
আষ্টেপৃষ্ঠে আটকে ফেলেছে।
প্রতিটি গ্রাহকেরই গল্প রয়েছে
প্রতারিত হওয়ার। আর এ কারণে
যারাই পারছে, ব্যাংকের টাকা
দিয়ে কার্ড জমা দিয়ে দিচ্ছে।
কেন্দ্রীয় ব্যাংকের হিসাব বলছে,
প্রতিমাসে গড়ে ১৪ থেকে ১৫
হাজার ব্যবহারকারী কার্ড জমা
দিয়ে দিচ্ছেন ব্যাংকগুলোতে-
যারা আর নতুন করে কার্ড নিচ্ছেন
না।
অধিকাংশ ক্রেডিট কার্ড
ব্যবহারকারী জানিয়েছেন,
ব্যাংকের মার্কেটিং
প্রতিনিধিদের অনুরোধ ও তাদের
মিষ্টভাষী প্রচারণায় ক্রেডিট
কার্ডের গ্রাহক হবার ব্যাপারে
উদ্বুদ্ধ হয়েছেন। গ্রাহকদের সঙ্গে
কথা বলে জানা গেছে, তারা
ব্যাংকগুলোর মার্কেটিং পলিসির
কাছে হেরে গিয়ে কার্ড
নিয়েছেন। ব্যাংক তাদের সঙ্গে
‘শর্ত প্রযোজ্য’ দিয়ে ভয়াবহ
প্রতারণা করছে। ব্যাংকগুলো ১৮
থেকে ৩৬ শতাংশ হারে সুদ নেয়ার
কথা বললেও বাস্তবে নিচ্ছে ৩০
থেকে ১৪৪ শতাংশ পর্যন্ত। আর
তাদের এই প্রতারণা থেকে
সাধারণ মানুষ থেকে
জনপ্রতিনিধি কেউই রক্ষা
পাচ্ছেন না। প্রভাবশালী
লোকেরা এ থেকে পরিত্রাণ
পেলেও সাধারণ মানুষের করার
কিছুই থাকছে না। এদের মধ্যে
যারা একটু সচেতন, তারা
বাংলাদেশ ব্যাংকের দ্বারস্থ
হচ্ছেন। বাকিরা ব্যাংকের ফাঁদে
আটকা পড়ে হাঁসফাঁস করছেন।
বছরের পর বছর গ্রাহকদের পকেট
কেটে মুনাফার পাহাড় গড়ছে
ব্যাংকগুলো। ক্রেডিট কার্ডের
গ্রাহকদের ওপর থাকে সুদের সুদ
তস্য সুদের খাঁড়া। আগেকার দিনে
মানুষের অশিক্ষার-স্বল্পশিক্ষার
সুযোগ নিয়ে সুদখোর মানুষগুলো
যেমন করে সুদের ওপরেও সুদ ধরে
মানুষকে ঠকাতো তেমনই আচরণ
এইসব কার্ড বিতরণকারীদের। আজ
ঋণের যে সুদ সেই সুদ পরের দিনই
পরিণত হচ্ছে মূল ঋণে এবং তার
ওপরই ধরা হচ্ছে নতুন সুদ। ফলে
গ্রাহক কোনো দিনই তাদের হিসাব
মেলাতে পারেন না।
মতিঝিলের একটি বেসরকারি
প্রতিষ্ঠানে চাকরি করেন মো.
শফিক গাজী, যিনি ইউনাইটেড
কমার্শিয়াল ব্যাংকের একজন
ক্রেডিট কার্ড গ্রাহক। তিনি
বলেন, ২০১০ থেকে ২০১২ সাল পর্যন্ত
স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড, ইস্টার্ন,
ব্র্যাক ও ইউসিবির মার্কেটিং
প্রতিনিধিরা তিন থেকে চার বার
যোগাযোগ করে নানাভাবে প্রলুব্ধ
করেন ক্রেডিট কার্ড নেয়ার জন্য।
তবে অনেকের তিক্ত অভিজ্ঞতা
জানা থাকায় কার্ড নিতে
অস্বীকার করি আমি।
“অনেক চেষ্টা করে ইউসিবির
প্রতিনিধি আমাকে বুঝাতে সক্ষম
হন, ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারে সবই
সুবিধা। অসুবিধা নেই। তাদের
পীড়াপীড়িতে শেষে রাজি হই।
ব্যাংক থেকে যেসব কাগজপত্র
চাওয়া হয় তার সবগুলো জমা দিতে
পারিনি। কিন্তু ১৫ দিনের মাথায়
কার্ড সংগ্রহের জন্য বলা হয়
ব্যাংক থেকে।”
তিনি বলেন, কার্ড ব্যবহারের
ক্ষেত্রে ব্যাংক আমাকে কোন
নিয়ম শিখিয়ে দেয়নি। শুধু বলেছিল
মাসিক ২.৫ শতাংশ সুদের কথা। তাই
কার্ড দিয়ে বুথ থেকে নগদ ৪০
হাজার টাকা তুলে ব্যবহার করি।
এক মাস পরেই ব্যাংক আমার কাছে
৫৫ হাজার টাকা দাবি করে। আমি
বিষয়টি জানতে ব্যাংকে গেলে
জানায়, নগদ টাকা তোলায় মাসিক
১২ শতাংশ হারে সুদারোপ করা
হয়েছে। অর্থাৎ, বছরে ১৪৪ শতাংশ।
“তারা জোর করে আমাকে কার্ড
দিয়ে আমাকে বিপদে ফেলল। ৪০
হাজার টাকার বিপরীতে এখন
পর্যন্ত ব্যাংকের প্রায় ৯০ হাজার
টাকা পরিশোধ করেছি। এখনও
ব্যাংক আমার কাছে ১০ হাজার
টাকা দাবি করছে।”
তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা
গেছে, বাংলাদেশের ক্রেডিট
কার্ড ইস্যুকারী ব্যাংকগুলোর
‘প্রকাশ্য’ সুদের হার পার্শ্ববর্তী
দেশগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। এর
ওপর রয়েছে ২০ থেকে ৩০ রকমের
‘হিডেন চার্জ’। সবমিলিয়ে সুদ
নিচ্ছে ৩০ থেকে দেড়শ’ শতাংশ।
গড়ে সুদ নিচ্ছে ৪০ শতাংশ হারে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্যমতে,
বেসরকারি বাণিজ্যিক
ব্যাংকগুলোর মধ্যে ২৫টির
ক্রেডিট কার্ড রয়েছে। আর
বিদেশি নয়টি ব্যাংকের মধ্যে
ক্রেডিট কার্ড রয়েছে স্ট্যান্ডার্ড
চার্টার্ড ব্যাংক, এইচএসবিসি ও
ব্যাংক আল ফালাহর। এসব
ব্যাংকের সুদের হার ১৮ থেকে ৩৬
শতাংশ পর্যন্ত। তবে বেশির ভাগ
ব্যাংকেরই সুদ হার ৩০ শতাংশ।
১৮ শতাংশ সুদ নিচ্ছে কমার্স, যমুনা
ও ডাচ্-বাংলা ব্যাংক।
এইচএসবিসির সুদ হার ১৯ দশমিক ৫০
শতাংশ। ব্যাংক আল ফালাহর
সুদের হার ২১ থেকে ২৪ শতাংশ।
জনতা, ঢাকা, আইএফআইসি,
স্ট্যান্ডার্ড ও সাউথইস্ট ব্যাংকের
সুদ ২৪ শতাংশ। এ ছাড়া ন্যাশনাল
ব্যাংকের সুদ ২৭, ব্র্যাক ব্যাংকের
২৭ থেকে ৩০, এনআরবি ব্যাংকের
২৮ এবং ওয়ান ব্যাংকের ২৮ দশমিক
৫০ থেকে ৩১ দশমিক ৫০ শতাংশ।
১৩টি ব্যাংক সুদ নিচ্ছে ৩০ শতাংশ।
ব্যাংকগুলো হচ্ছে এবি, ব্যাংক
এশিয়া, ইস্টার্ন (ইবিএল), এক্সিম,
মিডল্যান্ড, প্রিমিয়ার,
মার্কেন্টাইল, মিউচুয়াল ট্রাস্ট,
এনসিসি, ফারমারস, সাউথ বাংলা,
শাহজালাল ও ট্রাস্ট ব্যাংক। এর
বাইরে ৩০ থেকে ৩৩ শতাংশ সুদ
নিচ্ছে স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড। আর
দি সিটি ব্যাংকের সুদ হার ৩৬
শতাংশ।
ভারতের ব্যাংকগুলো এক্ষেত্রে
বার্ষিক সুদ নিচ্ছে ১৮ থেকে ৩০
শতাংশ, মিয়ানমারের ব্যাংকগুলো
১২ দশমিক ৮৪ থেকে ১৩ শতাংশ,
শ্রীলঙ্কার ব্যাংকগুলো ১৯ দশমিক
৬৮ থেকে ২৪ শতাংশ, চায়নার
ব্যাংকগুলো ১৮.৫৫ থেকে ২৫
দশমিক ৮৮ শতাংশ হারে। আর ক্যাশ
উত্তোলনের ক্ষেত্রে এসব দেশের
ব্যাংকগুলো মাসে সাড়ে ৩ শতাংশ
হারে সুদ নিচ্ছে যেখানে
বাংলাদেশের ব্যাংকগুলো নিচ্ছে
১২ শতাংশ হারে।
মো. আলী হায়দার নামে একজন
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী
ক্ষোভের সঙ্গে বলেন, এত সুদ
নেয়ার জন্য তাদের অনুমোদন
কিভাবে দিলো কর্তৃপক্ষ? আর ৩৫
থেকে ৪০ শতাংশ সুদ তারা
প্রতারণার মাধ্যমে নিয়ে থাকে।
ক্রেডিট কার্ড মানুষকে ঠকানোর
ব্যবসা ছাড়া আর কিছুই না।
একটি বেসরকারি ব্যাংকের
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহারকারী মৃদুল
সরকার যিনি গতমাসে তার
কার্ডটি ফিরিয়ে দিয়েছেন
ব্যাংকে। তিনি বলেন, এক পয়সাও
লিমিট ক্রস করলে ৪শ’ থেকে সাড়ে
৪শ’ টাকা ‘ওভার লিমিট ফি’, আবার
লাস্ট ডেট ছুটির দিন হলেও
‘লেটপেমেন্ট ফি’ সহ নানা রকম
হিডেন চার্য, ৩৫ থেকে ৪০ শতাংশ
সুদÑ এগুলো মরণ ফাঁদ ছাড়া আর
কিছুই না। লাস্ট ডেট ছুটির দিন
হলেও পরের অফিস ডেতে
লেটপেমেন্ট ফি ছাড়া বিল
পরিশোধ করা যায়না। সবচেয়ে বড়
ধরনের ধোঁকাবাজি। বহু কষ্টে এর
থেকে বের হতে পেরেছি।
রাজু আহমেদ নামে ইস্টার্ন
ব্যাংকের একজন ক্রেডিট কার্ড
গ্রাহক বলেন, হিডেন চার্জ অনেক
বেশি যা এরা কখনোই বলে না,
এদের হেল্পলাইনে যখন আপনি
ফোন করবেন তখন এদের শুনতে
শুনতে আপনার ব্যালেন্সের
বারোটা। অনেক কিছু করে যখন
আপনি লাইন পাবেন তখন শুনবেন,
একটু অপেক্ষা করুন, উনারা ব্যস্ত
আছেন।
মাহমুদ ফারুক নামে আরেকজন
গ্রাহক বলেন, ক্রেডিট কার্ড
আমাদের দেশে শাঁখের করাতের
মত। এটা আসতেও কাটে যেতেও
কাটে। ব্যাংক কার্ডের উপর
বার্ষিক চার্জ নেয়। আবার
দোকানীর থেকেও ২.৫ শতাংশ
টাকা আদায় করে। আবার গ্রাহক
পণ্য কিনলে কোনো কোনো
দোকানী মূল্যের উপর অতিরিক্ত
টাকা আদায় করে। “নগদ টাকা
বহনের ঝুঁকি এড়ানোর জন্য ক্রেডিট
কার্ড জনপ্রিয় করতে চারিদিক
হতে লাভ নেয়া ব্যাংকগুলোর বন্ধ
করা উচিত।” এটা শোষণের আধুনিক
ডিজিটাল পদ্ধতি, মরণ ফাঁদও বলতে
পারেন, উল্লেখ করেন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ব্র্যাক
ব্যাংকের একজন কার্ডধারী
বলেন, ব্র্যাক ব্যাংকে ঋণ নিতে
গেলে ক্রেডিট কার্ড ধরিয়ে
দিয়েছে। তখন আমাকে বলেছিল,
দৈনিক ৮০ পয়সা সুদ। তবে বাস্তবে
অনেক বেশি।
তিনি বলেন, “৬৫ হাজার টাকার
বাজার করে ৪ মাসে ৪২ হাজার
টাকা জমা করছি ব্যাংকে। তারা
এখনও আমার কাছে ৭৯ হাজার
টাকার পাবে। বুঝুন অবস্থা। বাধ্য
হয়ে পেমেন্ট বন্ধ করে দিয়েছি।
ফোন দিয়ে বলে পেমেন্ট করেন,
আর সুদ বাড়বে না। নতুন জায়গায়
চাকরি হওয়ায় আপাতত ঐখানেই
আটকে আছে আমার ঋণ।”
সেলিম নামের স্ট্যান্ডার্ড
চার্টার্ড ব্যাংকের এক গ্রাহক
জানান, ২০১১ সালে কার্ডের
মাধ্যমে ৫০ হাজার টাকা ব্যয় করে
৮২ হাজার টাকা পরিশোধ
করেছেন। ব্যাংকটি এখন বলছে ৩৫
হাজার টাকা পাবে। কীভাবে এত
টাকা পাওনা হলো জানতে চাইলে
তারা নানা ধরনের ভাউচার
দেখায়। ব্যাংকটি এসব টাকা
আদায়ের পরেও অতিরিক্ত টাকা
আদায়ের জন্য আবার এজেন্ট দিয়ে
টাকা আদায় করতে লোক নিয়োগ
করে। এসব এজেন্ট ভয়ভীতি
দেখিয়ে টাকা আদায় করছে।
মাত্রাতিরিক্ত সুদ আদায়ের
পাশাপাশি ডলারের রেট নিয়েও
ব্যাংকগুলোর বিরুদ্ধে মহাজনী
ব্যবসার অভিযোগ রয়েছে। ক্রেডিট
কার্ডের মাধ্যমে যারা বৈদেশিক
মুদ্রা ব্যবহার করেন তারা
ব্যাংকে বিল পরিশোধ করতে
গেলে ডলারের বাজার রেটের
চেয়ে দেড় থেকে দুই টাকা বেশি
দরে পরিশোধ করতে হয়। আবার
একেক ব্যাংক একেক রেটে অর্থ
পরিশোধ করতে হয়।
একাধিক ব্যাংকের ক্রেডিট
কার্ড ব্যবহার করছেন একটি
বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের
কর্মকর্তা সোহেল মাহমুদ। তিনি
অভিযোগ করেন, দেশের বাইরে
ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করলে
ব্যাংকগুলোকে ডলারে অর্থ
পরিশোধ করতে হয়। একেকটি
ব্যাংক ডলারের ভিন্ন ভিন্ন রেট
দেয়। কয়েকদিন আগে সিটি
ব্যাংকের কার্ডের অর্থ পরিশোধ
করতে গেলে আমার কাছে বাজার
রেটের চেয়ে দুই টাকা বেশি দাবি
করে। আবার ওইদিনই ইস্টার্ন
ব্যাংকে কার্ডের অর্থ জমা দিতে
গেলে ১ টাকা ৮০ পয়সা বেশি
দাবি করে। তাহলে ব্যাংকগুলো
কতবার ব্যবসা করবে? ৩০ থেকে ৪০
শতাংশ হারে সুদ নেবে, আবার
ডলারের রেটেও গ্রাহককে ঠকাবে?
বিষয়টি বাংলাদেশ ব্যাংকের
দেখা উচিত।
এ বিষয়ে বাংলাদেশ ব্যাংকের
মুখপাত্র ও নির্বাহী পরিচালক
শুভঙ্কর শাহা বলেন, ২০০৩ সাল
থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক
ফ্লোটিং রেট চালু করে, যে
কারণে একই দিনে একেকটি
ব্যাংকে একেক রেট হতে পারে।
তবে এই পার্থক্য খুব বেশি হয় না।
ক্রেডিট কার্ডের বৈদেশিক মুদ্রা
ব্যবহারকারী যেদিন অর্থ ফেরত
দিতে যাবেন ওই দিনের ওই
ব্যাংকের যে বিনিময় হার থাকবে
সেই হারেই জমা দেবেন। তবে
ফ্লোটিং রেটের চেয়েও তার
কাছে বেশি দাবি করলে গ্রাহক
অবশ্যই বাংলাদেশ ব্যাংকে ও
সংশ্লিষ্ট ব্যাংকে অভিযোগ
করবেন। তবে এমনটা হওয়ার কথা নয়
বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশ ব্যাংকের
ফাইনান্সিয়াল ইন্টিগ্রিটি এন্ড
কাস্টমার সার্ভিসেস বিভাগের
মহাব্যবস্থাপক একেএম আমজাদ
হোসেন বলেন, আমাদের কাছে
ক্রেডিট কার্ড নিয়ে যত অভিযোগ
আসে তা ফোনেই সমাধান হয়ে
যায়। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই
হিসাবের ভুলের জন্য হয়।
অভিযোগের প্রেক্ষিতে আমরা
সংশ্লিষ্ট ব্যাংককে বিষয়টা
জানালে তারা সঙ্গে সঙ্গেই
গ্রাহককে সমস্যা মিটিয়ে দিচ্ছেন।
আর আমাদের যদি মনে হয়, ব্যাংক
ইচ্ছাকৃত ভুল করেছে তখন ব্যাংকের
বিরুদ্ধে তদন্ত করে ব্যবস্থা
নিচ্ছি।
তিনি বলেন, সবার আগে গ্রহককে
সতর্ক হতে হবে। আমি যে জিনিসটি
ব্যবহার করছি সে সম্পর্কে আমার
জ্ঞান থাকতে হবে। না থাকলেতো
যে কেউ আমার অজ্ঞতার সুযোগ
নেবে। কোন বিষয় সম্পর্কে না
জেনে সেটা ব্যবহার করা উচিত নয়।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মুক্ত
বাণিজ্য চুক্তিতে স্বাক্ষরকারী
দেশ হওয়ায় সুদহারে ও মুদ্রার
বিনিময় হারে কোন ‘ক্যাপ’ দিতে
পারে না। তবে ব্যাংকগুলোকে
সুদারোপে অবশ্যই যৌক্তিক হতে
হবে।