রাজীব প্রধান,(গাজীপুর)প্রতিনিধিঃ-
গাজীপুরের শ্রীপুরে টেংরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সরকারী তহবিলের অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে ঐ স্কুলের প্রধান শিক্ষক এস এম ওমর ফারুকের বিরুদ্ধে। সোনালী ব্যাংক শ্রীপুর থানা শাখায় সঞ্চিত বিদ্যালয়ের তহবিলের ২লক্ষ ২০ হাজার টাকা তিনটি চেকের মাধ্যমে উওোলন করেন প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুক । বর্তমান মেসেজিং কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলমের লিখিত অভিযোগের অনুলিপিতে উল্লেখ রয়েছে স্লিপ এর বরাদ্ধ আত্মসাৎ, প্লেন এক্সেসরিজ এর বরাদ্দ আত্মসাৎ,মুভমেন্ট রেজিস্ট্রার লিপিবদ্ধ না করে সপ্তাহে ৩/৪ দিন বিদ্যালয়ের বাহিরে থাকা,বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভাউচারে সভাপতির স্বাক্ষর নকল করে অফিসে জমা দেয়া সহ নানা জালিয়াতি আর প্রতারনা করে আসছেন ওমর ফারুক। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে ৪/৫ টি মামলা আদালতে চলমান রয়েছে। বিনা ছুটিতে মামলার হাজিরা দিতে প্রতিনিয়ত আদালতে যান। এনিয়ে বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালনা কমিটির সভাপতির করা অভিযোগের ভিত্তিতে দুই সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস। বিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আমি ২০২০ সালের ১০ অক্টোবর নির্বাচিত হয়ে সভাপতির দায়িত্ব পাই। এর আগে বিদ্যালয়ে এডহক কমিটি ছিল।
যেখানে উপজেলা সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা আকরাম হোসেন সভাপতি ছিলেন। সে সময় সভাপতি ও প্রধান শিক্ষকের স্বাক্ষরে ব্যাংক হিসাব পরিচালনা হতো। আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর বিধি অনুযায়ী ব্যাংক হিসাব আমার স্বাক্ষরে পরিচালিত হওয়ার কথা। কিন্তু ব্যাংক হিসাবে প্রধান শিক্ষক তার স্বাক্ষর পরিবর্তন করেননি। তিনি আরও বলেন, আমি দায়িত্ব পালনের পরও উপজেলা প্রাথমিক সহকারী শিক্ষা কর্মকর্তার যোগসাজশে প্রধান শিক্ষক বিদ্যালয়ের নামে সোনালী ব্যাংকের শ্রীপুর শাখায় থাক ব্যাংক হিসাব থেকে তিনটি চেকের মাধ্যমে ২ লাখ ২০ হাজার টাকা টাকা তুলে নিয়ে আত্মসাৎ করেন। বিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্রয় সংক্রান্ত ভাউচারে আমার স্বাক্ষর জাল করার বিষয় সামনে এলে সন্দেহ তৈরি হয়। পরে আমি ব্যাংকে খোঁজ নিয়ে জানতে পারি দেড় বছর হয়ে গেলেও ব্যাংকে আমার স্বাক্ষর কার্ডই জমা দেওয়া হয়নি। আগের কমিটির স্বাক্ষরে প্রধান শিক্ষক টাকা তুলে নিতেন। টাকা তুলে নেওয়ার বিষয়ে প্রধান শিক্ষক ওমর ফারুকের সাথে কথা বলার জন্য মোটো ফুনে কল দিলে তাকে পাওয়া যায়নি।
টাকা উওোলনের বিষয়ে সাবেক সভাপতি এবং উপজেলা প্রাথমিক সহকারী কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, টাকা উওোলনের বিষয়ে আমি কিছুই জানিনা, তাছাড়া ওমর ফারুক আমার স্বাক্ষর জাল করে ব্যাংক থেকে টাকা উওোলন করতে পারে।