নেত্রকোণায় কীটনাশক প্রয়োগের হাতুড়ে চিকিৎসকের কাছে কৃষক মৃত্যু

0
4

বিপুল জামান লিখন, নেত্রকোণা প্রতিনিধিঃ-নেত্রকোনা মদনে উপজেলার হারেছ মিয়া(৬০) নামের এক কৃষকের কীটনাশক প্রয়োগের পর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে।(২২ সেপ্টেম্বর) বুধবার উপজেলার নায়েকপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান খানের বাড়িতে মারা যায় সে।তিনি উপজেলার মাখনা গ্রামের মৃত পাতার আলীর ছেলে।

জানা যায়,হারেছ মিয়া (২২ সেপ্টম্বর)সকালে আমন জমিতে কীটনাশক স্প্রে করতে হাওরে যায়। স্প্রে করে বাড়িতে এসে সকালের খাবার খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন। পরে নায়েকপুর গ্রামের পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান খানের ফার্মেসিতে নিয়ে যান। সেখানে কৃষক হারেছ মিয়ার মুখে নল ঢুকিয়ে ওয়াশ করা চেষ্টা করেন পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান খান। তার পেটের উপড় পা দিয়ে বার বার চাপ দিলে মুখ দেয়। এক সময় ভাত বের হয়। এবং ভাতের সাথে রক্ত বের হলে সেখানেই মারা যায় হারেছ মিয়া। পরে পরিবারের লোকজন তাকে দ্রুত মদন হাসপাতালে নিয়ে এলে জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিসক শান্তুনু শাহা মৃত ঘোষণা করেন।
মৃত্যুর সংবাদ এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক ব্যাক্তি জানান, শাহজাহান খান একজন পল্লী চিকিৎসক। কিন্তু তিনি নিজেকে মা ও শিশু বিশেষজ্ঞ ডাক্তার পরিচয় দিয়ে দীর্ঘদিন ধরে রোগী দেখছেন। তার ভুল চিকিৎসায় কৃষক হারেছ মিয়া মারা গেছে। তার বিরুদ্ধে এলাকায় ভুল চিকিৎসার অগনিত অভিযোগ রয়েছে।
নিহতের স্ত্রী রওশন আক্তার বলেন, আমার স্বামী ধান ক্ষেতে কীটনাশক দিতে সকালে হাওরে যায়। হাওর থেকে এসে ভাত খাওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাকে নিয়ে নায়েকপুর গ্রামের শাহজাহান ডাক্তারের কাছে গেলে মুখ দিয়ে নল ঢুকিয়ে ওয়াশ করা হয়। শাহাজাহান ডাক্তার পেটের উপড় উঠে পা দিয়ে চাপ দিলে ভাত ও রক্ত বের হয় মুখ দিয়ে। তখন শরীর নাড়াছাড়া বন্ধ করে দিলে মদন হাসপাতালে নিয়ে আসি। আমরা গরীব মানুষ। এর বেশী কিছু বলতে পারবো না।
মদন হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎক জানান, হাসপাতালে নিয়ে আসার আগেই হারেছ মিয়া মারা যান।
পল্লী চিকিৎসক শাহজাহান খান বলেন, মাখনা গ্রামের হারেছ মিয়া বিষ পান করে বুধবার সকালে আমার কাছে আসে। মুখ দিয়ে নল ঢুকিয়ে ওয়াশ করেছি। পেট ভর্তি ভাত থাকায় পুরোপুরি নল ঢুকানো সম্ভব হয়নি। পা দিয়ে পেটে চাপ দেওয়াও মুখ দিয়ে ভাত ও রক্ত বের হয়ে আসে। সে আমার ওখানে মারা গেলে বাড়িতে নিয়ে যেতে বলি।