স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশনের মাক্স বিতরন

0
3

রাশিদুজ্জামান সরদার ডুমুরিয়া, খুলনা প্রতিনিধি

দেশে করোনা সংক্রমণ বাড়ায় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সভা ও জনসমাগম বন্ধ করা হয়েছে। আর সংক্রমণ থেকে ডুমুরিয়া বাসিকে সুরক্ষা দিতে খুলনা জেলার একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক এবং অলাভজনক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠণ করোনাভাইরাস প্রতিরোধে মাস্ক বিতরণের কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।

এরই অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার সকালে খুলনা জেলা ডুমুরিয়া উপজেলার আঠারো মাইল বাসষ্টান ও বাজার এলাকায় মাস্ক বিতরণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে শতাধিক মানুষের জটলা। শারীরিক দূরত্ব ছিল না। অনুষ্ঠানস্থলে একাধিক ব্যক্তিকে মাস্ক ছাড়া দেখা গেছে। এসময় স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশন এর স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক পল্লি চিকৎসক মোঃ আলমগীর খান নির্দেশে সার্জিক্যাল মাস্ক বিতরণ করা হয়েছে।

স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশন নেতৃবৃন্দের আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দেওয়ার আগে আঠারো মাইল কাঁচাবাজারের বিভিন্ন গলি ঘুরে ঘুরে সাধারণ মানুষদের মাঝে মাস্ক বিতরণ করেন।

স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশন এর পক্ষ থেকে সবার উদ্দেশ্যে বারবার বলছেন, ‘আমাদের দেখানোর জন্য মাস্ক পরবেন না। নিজের সুরক্ষার জন্যই মাস্ক পরবেন।’ তবে সংগঠন এর সম্মানিত সভাপতি,যুগ্ম আহবায়ক,সাধারণ সম্পাদক,সদস্য সচিব প্রমুখ বাজার ঘুরে ঘুরে মাস্ক বিতরণ করেন।

সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত না করে মাস্ক বিতরণ করোনা থেকে কতটা সুরক্ষা দিতে পারবে এক সাংবাদিকের এমন প্রশ্নের জবাবে স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক এম এম টিপু সুলতান বলেন, ‘মাস্ক যখন বিতরণ করছি, তখন মানুষকে দূরে সরানো যাচ্ছে না। মানুষজন পেছনে হুড়মুড় করে পড়ছে। এর মানে এই নয়, আমরা গণসমাবেশ করছি। তারপরও মানুষকে মাস্ক দিতে হবে। সচেতন করতে হবে, বোঝাতে হবে। । ফ্রী মাক্স বিতরণ এই কর্মসূচিতে মানুষের দ্বারে দ্বারে গিয়ে আমাদের কাউকে না কাউকে বলতে হবে। ভবিষ্যতে করোনা প্রতিরোধে যেখানে এমন জনসমাগম হবে, তা আমাদের প্রত্যাহার করতে হবে।’

এ বিষয়ে স্বদেশ ব্লাড ফাউন্ডেশনের আহবায়ক ও বেতাগ্রাম মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ সাজ্জাদ আলী গণমাধ্যমকে বলেন, যাদের মাস্ক কেনার সামর্থ্য নেই, তাদের মাঝে অবশ্যই মাস্ক বিতরণ করতে হবে। তবে এভাবে লোক জড়ো করে মাস্ক বিতরণের কোনো মানে হয় না। টুপি বিলিয়ে, যেমন সবাইকে নামাজ পড়ানো সম্ভব নয়। ঠিক শুধু মাস্ক বিতরণ করেন।