নওগাঁয় প্রধান শিক্ষক নিয়োগে অনিয়মের পাঁয়তারা

0
60

নিজেস্ব প্রতিনিধি  সময়ের পাতাঃ নওগাঁর মান্দায় ফতেপুর (২য়) বি.এল উচ্চ বিদ্যালয়ে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে পছন্দের প্রার্থীকে নিয়োগদানের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ উঠেছে।স্থানীয় ও ম্যানেজিং কমিটির ক’জন সদস্যদের তোপের মুখে পুলিশ পাহারার পরও ওই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা নিতে পারে নি কর্তৃপক্ষ।গত ২৯ মার্চ বিকেল ৩ টার সময় ওই প্রতিষ্ঠানে প্রধান শিক্ষক নিয়োগের লিখিত ও মৌখিক পরীক্ষা নেওয়ার দিন ধার্য করেছিল কর্তৃপক্ষ। স্থানীয়দের তোপের মুখে ওই পরীক্ষা কর্তৃপক্ষ অবশেষে স্থগিত করেছে বলেও জানা গেছে।স্থানীয় ম্যানেজিং কমিটির ক’জন সদস্য ও পরীক্ষার্থীর অভিযোগ, কর্তৃপক্ষ মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে কম মেধা ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীকে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে এমন গুঞ্জনও চলছিল।এছাড়া এর আগে মেধাবী ও যোগ্যতাসম্পন্ন প্রার্থীরা নিয়োগ পরীক্ষায় অংশগ্রহণের জন্য ইন্টারভিউ কার্ড/পত্র না পাওয়ায় তাদের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে।এদিকে বাতিল হওয়া ৫ জন প্রার্থী তাদের ইন্টারভিউ কার্ড না পেয়ে প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে এর সুবিচার এবং প্রতিকার প্রার্থনা করে পরীক্ষা দেওয়ার আশায় অভিযোগ দাখিল করেছেন।পরে অবশ্য আরো একটি নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে কেউ কেউ আবার পরীক্ষার জন্য ইন্টারভিউ কার্ড/পত্রও পেয়েছেন।অপরদিকে বিধি মোতাবেক নিয়োগ বোর্ড গঠনের কথা থাকলেও তা করা হয় নি বলে ম্যানেজিং কমিটির ৬ জন সদস্যের স্বাক্ষরে উপজেলা নির্বাহী বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন।প্রতিষ্ঠানের সভাপতি তার নিজস্ব লোক ফেরদৌসকে প্রধান শিক্ষক এবং আ. লতিফকে সহকারি প্রধান শিক্ষক নিয়োগের জন্য ভূয়া এবং জাল রেজুলেশন জেলা শিক্ষা অফিসারের নিকট দাখিল করেছেন বলে তারা ওই অভিযোগে উল্লেখ করেন।এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আব্দুস সালামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, ওই প্রতিষ্ঠানের নিয়োগ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে জটিলতা ছিল। প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক নিয়োগ নানাভাবে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।নিয়োগ নিয়ে মনে হচ্ছে টাকার ভাগবাটোয়ারা চলছে। কিন্তু তাতে শিক্ষার পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।দীর্ঘদিন ধরে ওই প্রতিষ্ঠানে কয়েকটি শূন্য পদ রয়েছে।উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার আরো জানান, কর্তৃপক্ষ নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রতিষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানালে সেখানে উপস্থিত হই এবং কর্তৃপক্ষ আবার তাৎক্ষণিক সিদ্ধান্তে মাধ্যমে ওই পরীক্ষা স্থগিত করেন যার দরুন পরীক্ষা নেওয়া সম্ভব হয় নি।
ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির সঙ্গে বেশ ক’দিন ধরে যোগাযোগ করার পর অবশেষে তিনি মুঠোফোনে তার বিরুদ্ধে আনীত অভিযোগ অস্বীকার করে এ প্রতিবেদককে জানান, যারা অভিযোগ করেছিল তারা ভুল স্বীকার করায় পুনরায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে সকলকে কার্ড দেওয়া হয়েছে। প্রধান শিক্ষক পদে ১২ জন এবং সহকারী প্রধান শিক্ষক পদে ৭ জন প্রার্থী অংশগ্রহণ করলে এবং পুলিশ এনেও পরীক্ষা নেয়া সম্ভব হয় নি। একজন প্রার্থীর কারণে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা যেন না ঘটে সে কারণে পরীক্ষা স্থগিত করা হয়েছে বলে তিনি জানান।ওই কমিটির সদস্য সচিব ও ওই প্রতিষ্ঠানের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক রফিকুল আলমের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করে ফোনটি রিসিভ না হওয়ায় তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয় নি।তবে সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন পরীক্ষার সময় নানা ভূমিকা পালন করেছেন বলেও প্রার্থীদের অভিযোগ। তার সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে প্রতিষ্ঠানের সভাপতির সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে যোগাযোগ করার কথা বলেন।