ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার পরিসর বাড়ছে

0
95
বাণিজ্য মেলারবাড়তি সময় শেষে আজ পর্দা নামছে ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার।  জানুয়ারি মাসের প্রথম দিন থেকে শুরু হওয়া এই মেলা গত ৩৪ দিন ধরে রাজধানীবাসীর এক উত্সব কেন্দ্রে পরিণত হয়েছিল।
আজ বিকাল চারটায় সমাপনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে মেলার ২২ তম আসর শেষ হবে। এজন্য মেলার ইপিভি অফিসের পাশে মঞ্চ তৈরি হয়েছে। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি থাকবেন বাণিজ্য মন্ত্রী তোফায়েল আহম্মেদ।
মেলা কমিটির সদস্য সচিব মোহাম্মদ রেজাউল করিম বলেন, বছর শুরুতে দেশবাসীকে একটি ভালো মেলা উপহার দিতে কর্তৃপক্ষ সবসময় প্রস্তুত ছিল। কারণ কর্তৃপক্ষ সব সময় মেলার আয়োজনকে একটা চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়ে থাকেন। সেই অনুযায়ী আগে ভাগেই মাঠে নামেন দায়িত্বরত লোকজন।
শেরে বাংলা নগরে ২২ বছর ধরে চলা এই মেলার স্থায়ী কমপ্লেক্স নির্মাণ করা হচ্ছে পূর্বাচলে। ঢাকার অদূরে এই মেলা কতটা জমজমাট হবে তা নিয়ে মিশ্র প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ক্রেতা বিক্রেতাদের মাঝে। তবে কর্তৃপক্ষ বলেন, প্রাথমিক অবস্থায় কিছু প্রতিকূলতা থাকলেও এর মাধ্যমে এই মেলা আরো বেশি বিশ্বমানের হবে। এ নিয়ে ভিন্ন মত দেখা দিয়েছে ক্রেতা, বিক্রেতাদের মাঝে।
মেলা পূর্বাচলে চলে গেলে এত লোকের সমাগম হবে না বলে মনে করেন বিক্রেতারা। বিক্রেতারা বলেন, মেলায় অংশগ্রহণ নিয়ে নানা হিসাব-নিকাশ থাকে ব্যবসায়ীদের। কেউ আসে প্রচার-প্রসারকে কেন্দ্র করে আবার কেউ কেউ আসে বেচা-বিক্রিকে কেন্দ্র করে। তবে সব ক্ষেত্রেই মেলা জমে ওঠার একটি বিষয় আছে। মেলা ভালো না জমলে ব্যবসায়ীরা পিছিয়ে যাবেন অংশগ্রহণ থেকে। তবে কর্তৃপক্ষ মনে করেন, স্থায়ী অবকাঠামো হলে মেলা আরো ভালোভাবে জমে উঠবে। কারণ তখন, বিদেশি ব্যবসায়ীরা আরো ভালো আগ্রহ দেখাবে মেলাতে অংশগ্রহণ করতে।
এদিকে প্রতিবারের মেলায় প্রায় ২ হাজার ৫০০ শিক্ষার্থী মেলায় খণ্ডকালীন কাজে অংশগ্রহণ করে, যার মধ্য সিংহভাগই রয়েছেন নারী শিক্ষার্থী। খণ্ডকালীন কাজের সুযোগে মেলে কারো কারো স্থায়ী চাকরির সুযোগ। তবে স্থান স্থানান্তরের বিষয়ে প্রতিবছর এই মেলাকে ঘিরে খণ্ডকালীন নারী বিক্রয় প্রতিনিধিরাও রয়েছেন আশঙ্কায়।
ইডেন কলেজের শিক্ষার্থী সুমাইয়া শুমি বলেন, মেলায় তিন বছর ধরে খণ্ডকালীন কাজ করছি। তবে মেলা এখান থেকে চলে গেলে আর কাজ করা হবে কি না জানি না।
এদিকে, সমস্যার কথা স্বীকার করে যোগাযোগ ব্যবস্থা আরো উন্নত হবে বলে আশা প্রকাশ করছেন মেলা কর্তৃপক্ষ।