ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলায় হাদিসা আক্তার পপি (১৭) নামে এক কলেজছাত্রী আত্মহত্যা করেছেন। তবে মৃত্যুর আগে একটি চিরকুট লিখে গেছেন তিনি। সেখানে উঠে এসেছে, এক বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীর প্রতারণার শিকার হয়ে আত্মহত্যা করতে বাধ্য হন ওই তরুণী।
প্রতিবেশী যুবকের সঙ্গে গত প্রায় তিন বছর ধরে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। এই অবস্থায় বিয়ের প্রলোভনে ধর্ষণের শিকার হয়ে আসছিল কলেজছাত্রী। সম্পর্কে চাচা হওয়ায় এ ঘটনা কাউকে না বলে চাপা রাখছিলেন। এর মধ্যে অবস্থা বেগতিক দেখে লাপাত্তা হয়ে যায় যুবক।
এসব ঘটনা বোনকে জানিয়ে আজ রবিবার সকালে বাড়ির পেছনে টয়লেটে গিয়ে গলায় ওড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেন ওই ছাত্রী। আজ সকালে ময়মনসিংহের ঈশ্বরগঞ্জ উপজেলা উচাখিলা ইউনিয়নের নামা মচিারচর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
স্থানীয় সূত্র ও পুলিশ জানায়, ময়মনসিংহ মুমিনুন্নেসা মহিলা কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ওই গ্রামের তফির উদ্দিনে মেয়ে। প্রতিবেশী হাজী দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর সঙ্গে আমীর উদ্দিনের ছেলে মো. মোনায়েমের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তুলে। গত প্রায় তিন বছর ধরে এই সম্পর্ক চলছে।
এর মধ্যে দু’জনের এই সম্পর্কের কথা উভয় পরিবার জানলেও সম্পর্কে চাচা-ভাতিজি হওয়ায় কেউ এই সম্পর্ক মানতে নারাজ। তারপরও দুজনই প্রেমের সম্পর্ক ধরে রাখে। এ অবস্থায় প্রেমিক মোনায়েম করোনার পর থেকে বাড়িতে না আসায় ও মোবাইল ফোনে না পাওয়ায় মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন ওই ছাত্রী। এ ঘটনা তার বোনকে জানালে বোন আর বিস্তারিত জেনে হতবিহ্বল হয়ে যান। জানতে পারেন গত প্রায় তিন বছর ধরেই বিয়ের প্রলোভনে বোন পপির সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করে আসছে মোনায়েম।