২১ বছর ধরে উন্নয়ন বঞ্চিত হয়েও রাণীনগরের আয়েশা সিদ্দিকা শিশুসদন ও এতিমখানা জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে

0
9

রাণীনগর (নওগাঁ) প্রতিনিধি : নওগাঁর রাণীনগরের পারইল ইউনিয়নের আয়াতিয়া আয়েশা সিদ্দিকা বে-সরকারি শিশুসদন ও এতিমখানাটি ২১ বছর ধরে উন্নয়নবঞ্চিত হয়েও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকে শিক্ষানুরাগী ব্যক্তি ও গ্রামের মানুষের দানের উপর নির্ভরশীল হয়েই এলাকার এতিম,গরীব-অসহায় ও ছিন্নমূল শিশুদের ইসলামের জ্ঞানে আলোকিত করে আসছে
প্রতিষ্টানটি।
স্থানীয় সুত্রে জানাগেছে,উপজেলা সদর থেকে প্রায়২৬ কিলোমিটার দূরে উপজেলার শেষ সীমানা পারইল-বিশিয়া গ্রাম। এই অঞ্চলের শিশুদের সাধারন শিক্ষা গ্রহণের প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও ইসলাম শিক্ষা গ্রহণের তেমন কোন প্রতিষ্ঠান নেই। তাই সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের মাঝে ইসলাম শিক্ষায় দীক্ষিত করতে ২০০০সালে পারইল গ্রামের ডা. নুরে আলম সিদ্দিকী দুলাল তার পৈত্রিক সূত্রে পাওয়া জমিতে এই শিশুসদনটি প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তিতে প্রতিষ্ঠানে তার পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও জমি দান করেন। বর্তমানে ৩৩শতাংশ জমির উপর সম্পন্ন ব্যক্তি অর্থায়নে, কিছু শিক্ষানুরাগী ব্যক্তিদের সহযোগিতায় ও গ্রামের মানুষের দানের মারফতে কোনমতে নিচে ইট ও উপরে টিনের ছাউনি দিয়ে ৩টি কক্ষ নির্মাণ করা হয়। সেখানেই শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করে আসছে। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানে পারইল- বিশিয়াসহ আশেপাশের গ্রামের ১২জন এতিম ও ৩৮জন শিশুরা আবাসিক ব্যবস্থায় এবং অবশিষ্ট ৫০জন শিক্ষার্থীদের ৬জন শিক্ষক প্রতিদিন পাঠদান করাচ্ছেন।
প্রতিদিনই নতুন নতুন শিশুরা প্রতিষ্ঠানে শিক্ষা গ্রহণের জন্য আসলেও কক্ষ সংকটের কারণে জায়গা দিতে পারছেন না প্রতিষ্ঠানটি। সবার সহযোগিতা নিয়ে কয়েক বছর আগে আরো দুই কক্ষ বিশিষ্ট একটি ভবন নির্মাণের কাজ শুরু করলেও অর্থের অভাবে তা শেষ করতে পারেনি। তার পরেও জ্ঞানের আলো ছড়িয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি।
এব্যাপারে ওই প্রতিষ্ঠানের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি ডা: নুর এ আলম সিদ্দিকি বলেন,সরকারি কিংবা বেসরকারি সহযোগিতা পেলে এই শিশুসদনে আধুনিক ভবন,নিরাপত্তা প্রাচীর, টয়লেট ব্যবস্থা ও চলাচলের রাস্তা নির্মাণ,শিক্ষক ও কর্মচারী নিয়োগ করাসহ বিভিন্ন কর্মকান্ড সম্পাদন করে একটি আধুনিক ইসলামী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে রূপ দিতে চাই। তিনি আরো বলেন,সরকারের পক্ষ থেকে মাত্র ১২জন এতিম শিশুদের বছরে কিছু সহযোগিতা ছাড়া প্রতিষ্ঠানের ভাগ্যে উন্নয়নমূলক আর কোন সহযোগিতা জোটেনি। তাই সরকার তথা সার্মথবানদের সহযোগিতা কামনা করছি।
প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মাওলানা আসলাম উদ্দিন বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে যদি কিছু সুবিধা পেতাম তাহলে স্বাচ্ছন্দে শিক্ষার্থীদের শিক্ষা দিতে পারতাম এবং শিক্ষার্থীরাও অনেক উপকৃত হতো। বিশেষ করে এতিম যে শিশুরা আছে তারা

অনেক উপকৃত হতো। এছাড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নেই আবাসিক মানসম্মত থাকার ব্যবস্থা ও টয়লেটসহ অনেক কিছুই। তাই আপাতত শ্রেণিকক্ষ সংকট দূর হলেই আমরা অনেক খুশি হবো। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার মাহাতো বলেন, আমি দ্রুত প্রতিষ্ঠানটি সরেজমিনে পরিদর্শন করে সার্বিক সহযোগিতা প্রদানের চেস্টা করবো। এছাড়া আবেদন পেলে সংশ্লিষ্ট বিভাগ থেকে কোন সহযোগিতা করা
যায় কিনা সেই বিষয়ে পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।