গাজীপুর,প্রতিনিধি :গাজীপুরের শ্রীপুরে পৈত্রিক সম্পত্তিতে বাড়ি নির্মাণে বাঁধার মুখে পড়েছেন রাজাবাড়ি ইউনিয়নের ধলাদিয়া গ্রামের মোঃ আলেকজেন্ডার রনি।
এবিষয়ে রবিবার (১০ নভেম্বর) রাতে ভুক্তভোগী রনির স্ত্রী ফাতেমা আক্তার বাদী হয়ে ৫ জনের নাম উল্লেখ করে শ্রীপুর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
অভিযুক্তরা হল, উপজেলার একই এলাকার মফিজ উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম, জাহাজ আলীর দুই ছেলে লোকমান, বাদল, আ:শাহিদের ছেলে জয়নাল,ও সাটিয়াবাড়ি এলাকার জাহান আলীর ছেলে শাহ আলম।
ভুক্তভোগী ও লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ধলা দিয়া গ্রামের আলেকজেন্ডার রনি ধলাদিয়া মৌজায় কাপাসিয়া রাজেন্দ্রপুর আঞ্চলিক সড়কের পাশে আট গন্ডা জমিতে ৫ বছর আগে বহুতল ভবনের নির্মাণ কাজ শুরু করেন।গর ৫ আগস্ট শেখ হাসিনার সরকারের পতনের পর থেকে এলাকার কিছু দুষ্কৃতিকারী লোক ভবনের নির্মাণ কাজে বাধা দিয়ে আসছে। এরই ধারাবাহিকতায় গত রবিবার(১০ নভেম্বর) দুপুরে কিছু সন্ত্রাসী ভবনের অবকাঠামো ভাঙচুরসহ নির্মাণ শ্রমিকদের মারধর করে নির্মাণ শ্রমিকদের যন্ত্রাংশ নিয়ে যায়। এবং তারা মালিকপক্ষের কাছে টাকা দাবি করে। টাকা না দিলে ভবন হতে দেওয়া হবে না এমন হুমকিরও অভিযোগ রয়েছে তাদের বিরুদ্ধে। এ সময় সন্ত্রাসীদের কর্মকাণ্ডের জন্য প্রশাসনের কাছে সঠিক বিচারের দাবি জানান ভুক্তভোগী আলেকজান্ডার রনি।
এ সোমবার(১১ নভেম্বর) সরেজমিনে গিয়ে কয়েকজন নির্মাণ শ্রমিকের সাথে কথা বলে জানা যায় গতকাল দুপুর আড়াইটার দিকে কিছু সন্ত্রাসী এসে কাজে বাধা প্রদান করে এবং তাদেরকে মারধর করে এবং নির্মাণ শ্রমিকের কাজের যন্ত্রপাতি নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত সাইফুলকে মুঠোফোনে কল দিলে ভাঙচুরের বিষয়টি অস্বীকার করে তিনি বলেন, এখানে কাপাসিয়ার এক মহিলা জমি ক্রয় করেছে। এটি নিয়ে কোর্টে মামলা চলমান রয়েছে। তাছাড়া আলেকজেন্ডার এখানে ছয় গন্ডা জমি ক্রয় করেছে কিন্তু সে আট গন্ডা জমি দখল করেছে। আমরা শুধু সেখানে গিয়েছিলাম বসে মীমাংসার জন্য।
শ্রীপুর মডেল থানার উপ পরিদর্শক এস আই মনিরুজ্জামান বলেন, এই জায়গা নিয়ে শুনেছি দুই পক্ষের আদালতে মামলা রয়েছে। আমি ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছি। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সাথে কথা বলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।