রাণীনগরে মাদুর শিল্প রক্ষার্থে প্রথমবারের মতো সোনালী ব্যাংকের ঋণ বিতরণ

0
3

আওরঙ্গজেব হোসেন রাব্বী, ষ্টাফ রিপোর্টার: “পাতি চাষে সুরক্ষিত পরিবেশ, গড়বো মোরা স্বাস্থ্যকর বাংলাদেশ” এই প্রতিপাদ্য বিষয়কে সামনে নিয়ে নওগাঁর রাণীনগরে সোনালী ব্যাংক লিমিটেডের পক্ষ থেকে পাতিচাষী ও বুনন কারিগরগণের মাঝে ঋণ বিতরণ কার্যক্রমের উদ্বোধন করা হয়েছে।
সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাণীনগর শাখা ও টিটিডিসি শাখার আয়োজনে হাজার বছরের ঐতিহ্য পরিবেশবান্ধব ও স্বাস্থ্যকর মাদুর/শপ তৈরির প্রধান কাঁচামাল হিসেবে ব্যবহৃত পাতি চাষী ও বুনন কারিগরদের মাঝে এই প্রথম স্বল্প সুদে ঋণ বিতরণ উপলক্ষ্যে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। বুধবার উপজেলার সোনালী ব্যাংক লিমিটেড টিটিডিসি শাখা প্রাঙ্গনে প্রধান অতিথি হিসেবে কার্যক্রমের উদ্বোধন করেন সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার ওলিউজ্জামান।
এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার আহসান রেজা, সোনালী ব্যাংক লিমিটেড প্রিন্সিপাল অফিস নওগাঁর এসপিও বাশার আহমেদ, প্রিন্সিপাল অফিসার মাহমুদুল হাসান, সোনালী ব্যাাংক লিমিটেড রাণীনগর শাখার ম্যানেজার এবিএম আব্দুল হাকিম, টিটিডিসি শাখার ম্যানেজার মামুনুর রশীদ তালুকদার প্রমুখ। সোনালী ব্যাংক লিমিটেড রাণীনগর শাখা ও টিটিডিসি শাখার মাধ্যমে অত্র অঞ্চলের মোট ২৭জন পাতিচাষী কৃষকের মাঝে প্রত্যককে ৫০হাজার করে মোট সাড়ে ১৩লাখ টাকার ঋণের চেক বিতরন করা হয়।
এসময় প্রধান অতিথি বলেন সারা দেশের মধ্যে এই শিল্পটি শুধুমাত্র এই অঞ্চলেই রয়েছে। এখানকার তৈরি মাদুর চালান করা হয় দেশজুড়ে। এমনকি বিদেশেও চালান হয়। কিন্তু বর্তমানে স্বাস্থ্য ও পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর প্লাষ্টিকের তৈরি মাদুর এই ঐতিহ্যবাহী মাদুরের জায়গা অনেকটাই দখল করে নিয়েছে। প্লাষ্টিকের মাদুরের ক্ষতি থেকে মানুষ ও পরিবেশকে বাঁচানোর লক্ষ্যে এই অঞ্চলের হাজার বছরের ঐতিহ্য মাদুর তৈরির কাচাঁমাল হিসেবে ব্যবহৃত পাতি পরিবেশ বান্ধব ও স্বাস্থ্যকর হওয়ায় এই শিল্পর সঙ্গে জড়িত কারিগর ও কৃষকদের মাঝে ঋণ দিয়ে নতুন করে উদ্বুদ্ধ করা ও শিল্পটিকে নতুন করে জাগিয়ে তোলার প্রয়াস গ্রহণ করা হয়েছে। সরকারের পক্ষ থেকে এই শিল্পকে এগিয়ে নিতে এই প্রথম ব্যতিক্রমী এমন ঋণ প্রদান কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আমি শতভাগ আশাবাদি এমন উদ্যোগ হাজার বছরের এই শিল্পকে আবারো তার ঐতিহ্যসহ এই অঞ্চলের মাদুর শিল্পের যৌবনকে ফিরে নিয়ে আসতে সক্ষম হবে। আগামীতেও এই খাতের সঙ্গে জড়িত আগ্রহী কৃষক, কারিগর ও ব্যবসায়ীদের মাঝে পর্যায়ক্রমে ঋণ বিতরনের কার্যক্রম অব্যাহত রাখার পাশাপাশি পরিসরও বৃদ্ধি করা হবে বলে তিনি জানান।#