
তপন কুমার সরকার, আত্রাই(নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর আত্রাই থানা অফিসার ইনচার্জ ওসি আবুল কালাম আজাদ এর উদ্যোগে দীর্ঘ ত্রিশ বছরের সমস্যার সমাধান হয়েছে। এসময় গ্রামবাসীর মধ্যে কোলা-কুলি ও কান্নার রোল পরে যাওয়ার খবর পাওয়া গেছে। জানা যায়, উপজেলার মনিয়ারী ইউনিয়নের কয়েরা গ্রামে অবস্থিত খাস গাড়ী-পুকুরের টাকা ওই গ্রামের মাদ্রাসা ও মসজিদ উন্নয়ন কল্পে কমিটি নিয়ে থাকেন। একদা গচ্ছিত অর্থের হিসাব-নিকাশ নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিমত সৃষ্টি হওয়ায় কমিটি ভেঙ্গেদিয়ে নতুন কমিটি গঠনকালে শক্তি প্রয়োগ করে পকেট কমিটি করলে দ্বন্দ আরো বেড়ে যায়। আয়কৃত টাকায় গ্রামে রাস্তা তৈরী করলেও সমস্যার সমাধান হয়না। এরপর গ্রাম ও পরিবারের দ্বন্দ চলেযায় মাঠে। শুরু হয় ইরিগেশান নিয়ে ঝামেলা। একজন আরেক জনের জমির সীমানা দিয়ে অন্য জমিতে পানি নিয়ে যেতে বাধা দিলে শ্যালো ডিপের পাশাপাশি শ্যালো ডিপ বসিয়ে শুরু হয় ইরিগেশান। অতঃপর সমস্যা সমাধান চেয়ে গত পহেলা জানুয়ারী ২০২২তারিখে কয়েরা গ্রামের আবু তালেব, আঃ রাজ্জাক মরু এবং আমিনুল ইসলামকে বিবাদী করে একই গ্রামের কায়েদুল ইসলাম আত্রাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।
সার্বিক বিষয় বিবেচনা করে ওসি কয়েরা গ্রামে গ্রামবাসীদের সাথে নিয়ে বসেন। সবার মুখে কথা শোনার পর অতীতের সবকিছু ভুলে নতুন দেখানো পথে চলতে বললে সবাই মেনে নেন। গ্রামবাসী সকলকে করমর্দন করতে বললে আনন্দে তাদের মধ্যে কান্নার রোল পরে যায় এবং একজন আরেক জনের পাধরে কদমভুসি ও সালাম করতেথাকেন। জানতে চাইলে বাদী কায়েদুল ইসলাম জানান, আমরা ওসির উপর অত্যন্ত খুশি হয়েছি। তিনি আমাদের দীর্ঘ দিনের সমস্যার সমাধান করে দিয়েছেন। বিবাদী আবু তালেব গং জানান, আমরা গ্রামবাসী একসাথে চলতে পারবো এটা আমাদের জন্য অত্যন্ত খুশি ও আনন্দের বিষয়। দোয়া করি এরকম অফিসার প্রতিটা থানায় গ্রামে ও বাড়ীতে জন্ম গ্রহণ করুক।
এসময় ওই ইউনিয়ন নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান স¤্রাট হোসেন, নৌকা মার্কার প্রার্থী খায়রুল ইসলাম মিল্টন, থানার সহকারী পুলিশ পরিদর্শক মনিরুল ইসলামসহ অন্যরা উপস্থিত ছিলেন।