
প্রদীপ কুমার রায়, লালমনিরহাট জেলা প্রতিনিধি: ২১ আগস্ট (শনিবার) উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ী ঢলে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এতে তিস্তার দু’পাশের নিম্নাঞ্চলগুলো প্লাবিত হয়েছে।

তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। দেশের বৃহত্তম সেচ প্রকল্প লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা তিস্তা ব্যারাজ দোয়ানী পয়েন্টে পানি প্রবাহ রেকর্ড করা হয় ৫২.৭৮ সেন্টিমিটার। যা বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর। পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে তিস্তা ব্যারাজ রক্ষায় ৪৪টি জলকপাট খুলে দিয়েছে পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্তৃপক্ষ।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো) সূত্র জানায়, গত বুধবার, ১৮ আগস্ট থেকে তিস্তা নদীর পানি বৃদ্ধি পেতে শুরু করে। পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় এবার ভয়াবহ বন্যা দেখা দিতে পারে, এমনটি ধারনা করা হচ্ছে। যে কারণে, তিস্তাপাড়ের লোকজনদের সর্তক থাকতে বলা হয়েছে।
জানা যায়, তিস্তা ব্যরাজ এলাকায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় ইতিমধ্যে তিস্তা নদীর তীরবর্তী নিম্নাঞ্চলগুলো ডুবে গেছে। পানি বৃদ্ধির ফলে পাটগ্রাম উপজেলার- দহগ্রাম, হাতীবান্ধা উপজেলার- গড্ডিমারী, সিঙ্গীমারী, সিন্দুনা, পাটিকাপাড়া ডাউয়াবাড়ী, কালীগঞ্জ উপজেলার- ভোটমারী, শৈলমারী, নোহালী, চরবৈরাতী, আদিতমারী উপজেলার- মহিষখোচা ইউনিয়নের চৌরাহা, দক্ষিণ বালাপাড়া, কুটিরপাড়, চর গোবরধন, এবং সদর উপজেলার- খুনিয়াগাছ, রাজপুর, গোকুন্ডা ইউনিয়নের নদী তীরবর্তী নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে দোয়ানী ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, তিস্তা নদীর পানি বিপদসীমার ১৮ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ভারত থেকে প্রচন্ড গতিতে পানি বাংলাদেশের দিকে ধেয়ে আসছে। যার কারণে পানির চাপ নিয়ন্ত্রণে রাখার জন্য ব্যারেজের ৪৪টি জলকপাট খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে, আরও কী পরিমান পানি আসবে তা ধারণা করা যাচ্ছে না বলেও জানান ওই কর্মকর্তা।