মোঃ শাহীনুজ্জামান নড়াইল জেলা প্রতিনিধি:
নড়াইলের লোহাগড়া প্রেসক্লাবের আয়োজনে যুবলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ, একতাবদ্ধ হয়ে কেক কেটে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ৫৪তম বিবাহ বার্ষিকী পালন করেছে। এ সময় উপস্থিত ছিলেন উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক নড়াইল জেলা যুবলীগের সদস্য শেখ সদরউদ্দীন শামীম,সাংবাদিক ওবায়দুর রহমান,মারুফ সামদানী, কাজী আশরাফ, সৈয়দ খাইরুল আলম, মনির খান, মোঃ নয়ন শেখ, খন্দকার ছদরুজ্জামান, রুবেল, দিন ইসলাম প্রমুখ। ১৯৬৭ সালের ১৭ নভেম্বর বিখ্যাত পরমাণু বিজ্ঞানী মরহুম ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন জাতির জনক ও বঙ্গবন্ধু কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনা বর্তমানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি। তিনি ১৯৭৩ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রি সম্পন্ন করেন। স্নাতকের ছাত্রী থাকা অবস্থাতেই ১৯৬৭ সালে তার বিয়ে হয়। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া ১৬ ফেব্রুয়ারি, ১৯৪২ খ্রিষ্টাব্দে রংপুর জেলার পীরগঞ্জ উপজেলার ফতেহপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা আব্দুল কাদের মিয়া এবং মাতা ময়েজুন্নেসা। তিন বোন ও চার ভাইয়ের মধ্যে তিনি সর্বকনিষ্ঠ। মানসম্মত লেখাপড়ার জন্য ওয়াজেদ মিয়াকে রংপুর জেলা স্কুলে ভর্তি করানো হয়। সেখান থেকেই তিনি ডিসটিনকশনসহ প্রথম বিভাগে মেট্রিকুলেশন পাস করেন। ১৯৫৬ সালে রংপুর জেলা স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করার পর ১৯৫৮ সালে রাজশাহী সরকারি কলেজ থেকে ইন্টারমিডিয়েট পাস করেন তিনি। এরপর ১৯৬২ সালে তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পদার্থ বিজ্ঞানে এমএসসি পাশ করেন এবং ১৯৬৭ সালে লন্ডনের ডারহাম বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডক্টরেট ডিগ্রি লাভ করেন। ডক্টরেট ডিগ্রি লাভের পর, দেশে ফিরে একই বছর ১৭ নভেম্বর শেখ হাসিনা ও তিনি বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। সজীব ওয়াজেদ জয় (পুত্র) ও সায়মা ওয়াজেদ পুতুল (কন্যা) নামে এই দম্পতির দুইটি সন্তান রয়েছে। ড. এমএ ওয়াজেদ মিয়া দীর্ঘদিন কিডনি সমস্যাসহ হৃদরোগ ও শ্বাসকষ্টে ভুগার পর ২০০৯ সালের ৯ মে বিকাল চারটা ২৫ মিনিটে তিনি ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ৬৭ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন।