গাজীপুর প্রতিনিধি:
গাজীপুর কোনাবাড়ী আমবাগের নূর নাহারের বাড়ীর ভাড়াটিয়া সীমা আক্তার(২২) সাথে গত চার বছর পূর্বে কালিয়াকৈর থানাধীন বেগমপুরের বাসিন্দা মানিক মিয়া(২৯) সাথে ইসলামিক শরীয়ত মোতাবেক পারিবারিক ভাবে বিবাহ হয়।বিবাহের পর থেকে সাংসারীক ভাবে অমনোযোগী ছিলেন সীমা আক্তার।অহেতুক কারন ছাড়ায় স্বামীর বাড়ী থেকে কাউকে কিছু না জানিয়ে নিখোঁজ হয়ে যাওয়া এবং দুই তিনদিন পরে আবার ফিরে আসা রীতিমত চলতে থাকে।বিয়ের এক বছর পর তাদের দাম্পত্য জীবনে একটি কন্যা সন্তান জম্ম নেয়। কন্যা সন্তানের নাম রাখা হয় মারিয়া মাহী।সন্তানের বয়স যখন আট মাস তখন সীমা আক্তার স্বামীর বাড়ীতে সন্তানকে রেখে কাউকে কিছু না জানিয়ে চলে যায়।খোঁজখবর নিয়ে জানাযায় তার ভাইয়েদের বাড়ীতে স্বামীর বাড়ী থেকে চলে যাওয়ার এক দিন পরে আশ্রয় নেয়।স্বামীর বাড়ী থেকে সীমা আক্তারকে আনতে গেলে সে সংসার করবে না বলে জানিয়ে দেয় এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানী করবে বলেও হুমকি প্রদান করে।মানিক মিয়া বিষয়টি স্থানীয় কাউন্সিলরকে জানান এবং কালিয়াকৈর থানায় সাধারন ডাইরী করেন।মানিক মিয়া সংসার করার জন্য এবং বাচ্চার ভবিষ্যৎ এর কথা চিন্তা করে বারবার তাকে আনতে গেলে একপর্যায়ে সীমা আক্তার ও তার পরিবার মিথ্যা ডির্ভোস এর কাগজ দেখিয়ে সম্পর্ক বিচ্ছিন্ন করেন।সন্তানের কথা চিন্তা করে স্বামী স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে সন্তানকে সীমা আক্তারের কাছে লালন পালনের জন্য দিতে চায় কিন্তুু সীমা আক্তার সন্তানকে তার কাছে রাখতে অস্বীকৃতি জানান।মো মানিক মিয়া সন্তানের কথা চিন্তা করে পুনরায় বিয়ে করতে বাধ্য হন। এমনি ভাবে দুই বছর অতিক্রম হওয়ার পর সীমা আক্তারের মিথ্যা তালাক নামার কথা যখন মানিক মিয়া জানতে পারে তখন স্থানীয় গন্যমান্য ব্যক্তিদের অবগত করেন এবং গ্রাম্য সালিশ ডাকেন।সালিশে সীমা আক্তার উপস্থিত না হয়ে আদালতে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন মানিক মিয়া ও তার পরিবারের উপর।মানিক মিয়া ও তার পরিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানান মিথ্যা তালাক নামা দেখিয়ে দ্বিতীয় বিবাহ করতে বাধ্য করা এবং অবুজ নাবালিকা সন্তান মারীয়া মাহীকে মাতৃস্নেহ থেকে বঞ্চিত করায় আইনের সুদৃষ্টি এবং মিথ্যা মামলার হয়রানী থেকে মুক্তির দাবী জানান।