নওগাঁ প্রতিনিধিঃ
নওগাঁর আত্রাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক এর বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় রয়েছে। তিনি দীর্ঘ ১৫ বছর উপজেলা চেয়ারম্যান হিসাবে ক্ষমতায় থাকার সময়কালে এ অভিযোগগুলো হয়। তাঁর বিরুদ্ধে ক্ষমতার অপব্যবহার, সালিশের নামে উভয় পক্ষের কাছ থেকে এবং উন্নয়ন প্রকল্প দেওয়ার নামে উৎকোচ গ্রহন, চাঁন্দের বিল খনন কালে মানুষের জমির ক্ষতি দিতে চেয়ে না দেওয়া, প্রভাব ও অর্থের বিনিময়ে পুকুর খনন এবং তঁর মুখের ভাষা বুঝতে না পারা।
উপজেলা আ’লীগ সহ-সভাপতি নজরুল ইসলাম জানান, তিনি সারা উপজেলায় মাসি সেট করে রেখেছেন। মাসিরা অপরাধীদের খুজে আনলে সালিশের নামে উভয় পক্ষের কাছ থেকে উৎকোচ নিয়ে যে পক্ষের উৎকোচের পাল্লা ভাড়ি হয় সে পক্ষে রায় দেন। সেইসাথে জমি দখল, পুকুর খনন, ক্ষমতার অপব্যবহার করে ঠিকাদারিতে খারাপ কাজ, গোডাউনে ধান-চাল দেওয়া ও উত্তোলন তো আছেই।
উপজেলা আ’লীগ সাংস্কৃতি বিষয়ক সম্পাদক মোতাহার হোসেন জানান, ব্রজপুর ঋষি পাড়ায় সমস্যা হলে তারা চেয়ারম্যানের দারস্ত হন। সেখানে উভয় পক্ষের কাছ থেকে টাকা নিয়ে রায় দেওয়ায় এক পক্ষ মানতে না চাইলে তার বাহিনী দ্বারা ভয়ভিতি দেখিয়ে বিষয়টি ধামাচাপা দেন।
দমদমা গ্রামের মেহের আলী জানান, চাঁন্দের বিল ও তাদের অবৈধ পুকুর খনন করার সময় আমার সারে তিন বিঘা জমির মধ্যে প্রায় দের বিঘা জমি দখল করে নেন। বলতে গেলে চেয়ারম্যানের ভাই ও লোকজন আমাকে প্রাণনাসের হুমকি দেন।
উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এবাদুর রহমান প্রামানিক অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তিনি যাতে ভোটে জিততে না পারেন সেজন্য তাঁর বিরুদ্ধে নানান ষরযন্ত্র করা হচ্ছে।