
মো: আরিফুল ইসলাম,রাঙামাটি প্রতিনিধি, রাঙ্গামাটির নানিয়ারচর উপজেলায় জননেতা দিপংকর তালুকদারের প্রচেষ্টায় প্রধানমন্ত্রীর উন্নয়নের ধাপে-ধাপ পদক্ষেপ গ্রহনে উন্নত সড়ক যোগাযোগ, শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কর্মসংস্থান ইত্যাদি উপজেলা সদরে দিন দিন উন্নয়ন ছোঁয়ায় বদলে গেলেও বদলে যাননি অন্যতম ইউনিয়ন বুড়িঘাট । এখনো এই ইউনিয়নের বাসিন্দারা মুঠোফোনের নিবু নিবু ইন্টারনেট সংযোগ সেবা পেলেও নেই ইউনিয়ন তথ্যসেন্টার ও ডিজিটাল সেন্টার।

প্রতিনয়তই সরকারের উন্নয়ন কর্মকান্ড ও তথ্যসেবা অনলাইনে বিভিন্ন সেবামূলক কার্যক্রমগুলো থেকে বঞ্চিত হতে হচ্ছে ।বর্তমান সরকারের গ্রামকে শহরে পরিনত করতে রাঙ্গামাটি জেলার অভ্যন্তরীণ উপজেলা সদর হতে যোগাযোগের জন্য সেতু স্থাপনের মাধ্যমে উন্নয়ন ছোঁয়ায় বদলে গেছে নানিয়ারচর, যা এক সময়ে ছিল দুর্গম জনপদ নাম।
কিন্তু দেখা গেছে উপজেলার সাথে দুর্গম ও ব্যায়বহুল ও জনবহুল ইউনিয়ন হল বুড়িঘাট। মুঠোফোন সেবা ও মডেম ইন্টারনেট সংযোগ থাকার পরেও সেখানকার স্থানীয়রা জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতাসহ বিকাশ কিংবা নগদ সেবা ও স্কুল শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ভর্তি তথ্য নিবন্ধন করার সুবিধাগুলো থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
তাছাড়া বুড়িঘাটের ইউনিয়ন তথ্য ও সেবা ডিজিটাল কেন্দ্রটি সদর উপজেলায় থাকায় এই সেবায় চরম ভোগান্তি পড়তে হচ্ছে জনগনের। ইউপি মেম্বার মালেক বলেন, বুড়িঘাট ইউনিয়নের সাথে উপজেলা সদরে সাথে যোগাযোগ স্থাপন করতে ইঞ্চিন চালিত নৌকা ও রাস্তা মাধ্যমে আসতে একদিন সময় নষ্ট হয়ে যায়। বুড়িঘাট ইউনিয়ন এর সাথে সদর উপজেলার সাথে বাস যোগাযোগ না থাকায় মটরসাইকেলে গ্রাহককে মাত্রাতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে কার্য সম্পাদন করতে হচ্ছে।এতে ইউনিয়নের মানুষ কে সেবা পেতে ভোগান্তি হতে হচ্ছে।
এদিকে স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান হতে ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির একাউন্ট বয়স্ক, বিধবা, প্রতিবন্ধী ভাতা, জন্মনিবন্ধন, ভিজিডি, বয়স্ক ভাতা, ট্রেড লাইসেন্স, স্কুল,কলেজ শিক্ষার্থীদের নিবন্ধন ক্লাস, উপবৃত্তি, বিকাশ কিংবা নগদ খোলা ইত্যাদি সেবা পাচ্ছে না।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেবা উপজেলা সদরে থাকায় নৌকা করে ও মটরসাইকেলে আসতে অনেক টাকা গচ্ছা যায়। দূর্গম এই ইউনিয়নটিকে আরেকটি তথ্য সেবা কেন্দ্র বাড়ালে সেবা প্রদানে জেলা প্রশাসক ও ইউএনওর সু-দৃষ্টির কামনা করছেন ইউনিয়নবাসী।
সম্প্রতিক উপজেলা সদরে এ বিষয়ে ০৩ নং বুড়িঘাট ইউপি চেয়ারম্যান এর সাথে কথা হলে তিনি বলেন, যেহেতু ইউনিয়নবাসীদের ডিজিটালের সকল ধরনে সেবামূলক কার্যক্রম চাহিদায় সহযোগীতার জন্য আমি প্রতিশ্রুতি বদ্ধ,ডিজিটাল সেন্টার আরেকটি বাড়লে পাশাপাশি সেবার মানও বাড়বে এবং জনগন উপকৃত হবে ।