
গত বৃহস্পতিবার বিকেলে এক কর্মকর্তার মেয়েকে র্যাগ দেওয়া নিয়ে ভুল বুঝাবুঝিকে কেন্দ্র করে ছাত্র লাঞ্চনার ঘটনা ঘটে।জানা গেছে যাদেরকে লাঞ্ছিত করা হয় তারা র্যাগের সাথে জড়িত ছিলেন না । এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে তারা সেদিনই সন্ধ্যার আগে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে লিখিত অভিযোগদেন।তারা উল্লেখ করেন,যে বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকর্তা ফেরদৌস আলম গত বৃহস্পতির অন্যায় ভাবে কোন কিছু না জেনে ২ জন সাধারণ শিক্ষার্থীকে শারীরিক ভাবে লাঞ্ছিত করেন এবং গালিগালাজ করেন।এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে আজ বিশ্ববিদ্যালয় এর সাধারণ শিক্ষার্থীদের ব্যানারে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এক মানব বন্ধন ও বিক্ষোভ কর্মসুচীর আয়োজন করা হয় ।তারা এসময় কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফেরদৌস আলমের দৃষ্টান্ত মুলক শাস্তি দাবি করে স্লোগান দেয়।
তারা কয়েকটা দাবী জানিয়ে মাননীয় ভিসি বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করবেন বলে জানান । দাবিগুলো হল –
১.কর্মকর্তা কৃষিবিদ ফেরদৌস আলম এর বহিষ্কার ।

২.লাঞ্ছিত শিক্ষার্থীদের কাছে মাফ চাইতে হবে।
৩.বিশ্ববিদ্যালয়ের কোন কর্মকর্তা/ কর্মচারী কোন শিক্ষার্থীকে তুই/তুমি বলে ডাকতে পারবে না।
যদি অতি দ্রুত বিশ্ববিদ্যালয় এ ব্যাপারে কোন প্রদক্ষেপ না নেয় তাহলে পরবর্তী কর্মসুচী দেওয়া হবে বলে জানান তারা
। এদিকে লাঞ্ছিত শিক্ষার্থীদের কাছে তাদের দাবি সম্পর্কে জানতে চাইলে তারা জানান ওই কর্মকর্তা আমাদেরকে সবার সামনে লাঞ্ছিত করেছে , এখন সে এসে সবার সামনে আমাদের কাছে মাফ চাইলেই খুশি ,এরপর বাকি ব্যবস্থা প্রশাসন নেবে ।এদিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে ফেসবুকে সাংবাদিক সমিতিকে নিয়ে অপপ্রচার চালিয়েছে কয়েকজন উচ্ছৃঙ্খল শিক্ষার্থী এদের মধ্যে বিবিএ এর অপুর্ব ও জয়তুন নেশা নামে দুজনের নাম পাওয়া গেছে । এ ব্যাপারে সাংবাদিক সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়েছে । সাংবাদিক নেতারা জানান সাংবাদিক সমিতি নিজের মতো চলবে, কারো উস্কানি বা কথায় কান দিয়ে চলবেনা, আর সাংবাদিকদের লিখতে গেলে অনেক ভেবে চিন্তে লিখতে হয় ।