সময়েরপাতাঃ প্রধানমন্ত্রীকে বহনকারী উড়োজাহাজে ত্রুটির ঘটনায় গ্রেপ্তার বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সাত কর্মকর্তাকে দ্বিতীয় দফায় আট দিনের পুলিশ হেফাজতে পাঠিয়েছে আদালত।
সাত দিনের রিমান্ড শেষে শুক্রবার আসামিদের আদালতে হাজির করে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নতুন করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন তদন্ত কর্মকর্তা। অপরদিকে তাদের জামিন চেয়ে আবেদন করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা।
শুনানি শেষে মহানগর হাকিম ওয়ায়েজ কুরুনি খান চৌধুরী বিমানের ওই কর্মকর্তাদের জামিন আবেদন নাকচ করে প্রত্যেকের আট দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
এই কর্মকর্তারা হলেন- বিমানের চিফ ইঞ্জিনিয়ার (প্রোডাকশন) দেবেশ চৌধুরী, ভারপ্রাপ্ত চিফ ইঞ্জিনিয়ার (পরিদর্শন ও মান নিয়ন্ত্রণ) এস এ সিদ্দিক, ভারপ্রাপ্ত মুখ্য প্রকৌশলী (এনসিসি) বিল্লাল হোসেন, প্রকৌশল কর্মকর্তা লুৎফর রহমান, সামিউল হক, মিলন চন্দ্র বিশ্বাস ও জাকির হোসাইন।
গত ২৭ নভেম্বর হাঙ্গেরি যাওয়ার পথে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বহনকারী বিমানের একটি বোয়িং যান্ত্রিক ত্রুটির কারণে তুর্কমেনিস্তানের আশখাবাত বিমানবন্দরে জরুরি অবতরণে বাধ্য হয়। ইঞ্জিন অয়েলের ট্যাংকের একটি নাট ঢিলে থাকায় ওই বিপত্তি ঘটে।
এর পেছনে নাশকতা ছিল কি না, তা খতিয়ে দেখতে তিনটি তদন্ত কমিটি হয়। তদন্তের ভিত্তিতে বিমানের নয় কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। পরে তাদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে বিমান কর্তৃপক্ষ।
এরপর গত ২২ ডিসেম্বর বিমানের এই সাত কর্মকর্তাকে রাজধানীর বিভিন্ন এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। আদালতে হাজির করে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ হেফাজতে চাইলে তাদের সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়।
এই সময়ে জিজ্ঞাসাবাদে তারা নাশকতায় সংশ্লিষ্টতার কথা স্বীকার না করলেও একে অপরের বিরুদ্ধে বক্তব্য দিয়েছেন বলে রিমান্ড আবেদনে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন বলে আসামি দেবেশের আইনজীবী পরিমল কুমার জানিয়েছেন।
“এ বিষয়ে বিস্তারিত জানান তাদের রিমান্ডে আনা জরুরি বলে তদন্ত কর্মকর্তা উল্লেখ করেছেন” বলেন তিনি।
এই মামলার অপর দুই আসামি বিমানের প্রকৌশল কর্মকর্তা এস এম রোকনুজ্জামান ও জুনিয়র টেকনিশিয়ান মো. সিদ্দিকুর রহমানকে গত বুধবার সাত দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছে আদালত। তারা আদালতে আত্মসমর্পণের পর ছয় দিন কারাগারে ছিলেন।