
প্রধানমন্ত্রীকে হুমকি দেওয়ার অভিযোগে ৪ জনের বিরুদ্ধে (৯ মার্চ) দুপুরে আদালতে এ মামলার আবেদন করা হয় বলে জানা গেছে।যমুনা টিভি
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অবজ্ঞা ও তার কন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ‘হত্যার’ ইঙ্গিতপূর্ণ বক্তব্য দেওয়ার পর দুঃখ প্রকাশ করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র মিজানুর রহমান মিনু।রোববার (৭ মার্চ) এক বিবৃতিতে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেছেন বলে জানিয়েছেন রাজশাহী নগর বিএনপির দপ্তর সম্পাদক নাজমুল হক ডিকেন। এদিন দুপুরে তিনি এ সংক্রান্ত একটি বিবৃতি গণমাধ্যমে পাঠিয়েছেন। সময় টিভি
এর আগে মিনুকে ক্ষমা চাইতে নগর আওয়ামী লীগের বেঁধে দেয়া ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম শেষ হয় শনিবার সন্ধ্যায়। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে ক্ষমা না চাইলেও পরদিন তিনি দুঃখ প্রকাশ করলেন। যোগাযোগ করা হলে মিজানুর রহমান মিনু এই বিবৃতিটি পাঠানোর বিষয়টি স্বীকার করেছেন।
এর আগে গত ২ মার্চ মঙ্গলবার বিএনপির বিভাগীয় সমাবেশে মিজানুর রহমান মিনু প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে উদ্দেশ্য করে বলেন, ‘আজ রাত, কাল আর সকাল নাও হতে পারে। ৭৫ মনে নাই?’ সেই সমাবেশে মিনু জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকেও কটাক্ষ করে বক্তব্য দেন। এর প্রতিবাদে ফুঁসে ওঠে নগর আওয়ামী লীগ। পরদিনই বিক্ষোভ-সমাবেশ করে দলটি। সেই সমাবেশ থেকে নগর আওয়ামী লীগের সভাপতি এএইচএম খায়রুজ্জামান লিটন মিনুকে ৭২ ঘণ্টার আল্টিমেটাম দেন।
লিটন ঘোষণা দেন, এই সময়ের মধ্যে মিনু ক্ষমা না চাইলে তার বিরুদ্ধে মামলা করা হবে। আর বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক ও রাজশাহী-২ (সদর) আসনের সংসদ সদস্য ফজলে হোসেন বাদশা এক প্রতিবাদলিপিতে মিনুর বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয়ভাবে দ্রুত ব্যবস্থা নেয়ার দাবি জানান। নগর ওয়ার্কার্স পার্টির বিক্ষোভ-সমাবেশ থেকে মিনুকে গ্রেপ্তারের দাবি জানানো হয়।