এরশাদ আবির, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি:
আজ ২১শে ফেব্রুয়ারী মহান শহীদ দিবস এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ময়মনসিংহের জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যোগে বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। গতকাল ২০শে ফেব্রুয়ারী রাত ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের চির উন্নত মম শির চত্বরে মোমবাতি প্রজ্জ্বলন ও ২১শে ফেব্রুয়ারীর প্রথম প্রহরে পুষ্পস্তবক অর্পনের মধ্য দিয়ে দিবসটির কার্যক্রম শুরু হয়। চির উন্নত মম শির চত্বরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস – চ্যান্সেলর ড. সৌমিত্র শেখর , বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার কৃষিবিদ ড . মো হুমায়ুন কবির , বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকসহ বিভিন্ন ছাত্রসংগঠনের নেতাকর্মীরা, বিভিন্ন হল , বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগ , বঙ্গবন্ধু নীলদল, তৃতীয় শ্রেণীর কর্মচারী সমিতি, চতুর্থ শ্রেণীর কর্মচারীরা সহ বিভিন্ন সংগঠন। বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় প্রেসক্লাব এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য তার বক্তব্যে বলেন, “১৯৫২ সালে এই দিবসে সংঘটিত বাংলা ভাষা আন্দোলন ছিল তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে (বর্তমান বাংলাদেশ) একটি সাংস্কৃতিক ও রাজনৈতিক আন্দোলন। ২১ ফেব্রুয়ারিতে এ আন্দোলন চূড়ান্ত রূপ ধারণ করলেও বস্তুত এর বীজ বপিত হয়েছিল বহু আগে, অন্যদিকে এর প্রতিক্রিয়া এবং ফলাফল ছিল সুদূরপ্রসারী”। বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাকিবুল হাসান রাকিব বলেন, “ভাষার জন্য প্রাণ দেওয়ার গৌরব শুধু আমাদেরই আছে। ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকে আমাদের বাঁচিয়ে রাখতে হবে”। পরবর্তী কর্মসূচি হিসেবে আজ সকাল ৬টা ৩০ মিনিট থেকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গণে জমায়েত হয়ে প্রভাতফেরীতে অংশ নেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী এবং শিক্ষকবৃন্দ। এরপর সকাল ৯.৫০ মিনিটে কালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ১০.০০ টা থেকে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতকরণ ও কালো পতাকা উত্তোলন, ১১.৩০ মিনিট থেকে অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
অনলাইন আলোচনা অনুষ্ঠানে সভাপতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস ২০২২ উদযাপন কমিটির আহ্বায়ক অধ্যাপক ড . আহমেদুল বারী, প্রধান অতিথি হিসেবে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অধ্যাপক মো . জালাল উদ্দিন, বিশেষ অতিথি ছিলেন অধ্যাপক ড . মোঃ নজরুল ইসলাম সহ আলোচকের ভূমিকায় ছিলেন ড . মুহাম্মদ এমদাদুর রাশেদ, ড . সেলিম আল মামুন এবং মোঃ জোবায়ের হোসেন প্রমুখ।