কুড়িগ্রাম প্রতিনিধিঃ গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অধীনস্থ স্থানীয় সরকার বিভাগ অতিদরিদ্রদের জন্য ”ইনকাম সাপোর্ট প্রোগ্রাম ফর দ্যা পুওরেষ্ট (আইএসপিপি)-যত্ন” প্রকল্পের মাধ্যমে আয় সহায়ক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ সরকার ও বিশ্ব ব্যাংকের যৌথ অর্থায়নে ৫ বছর মেয়াদী এ প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হচ্ছে। প্রকল্পের মূল উদ্দেশ্য হলো নির্ধারিত ৪৩টি উপজেলায় অতিদরিদ্র অন্তঃসত্ত্বা নারী, ০-৪৮ মাস বয়সী শিশু এবং তাদের মা’দের সুনির্দিষ্ট সেবা গ্রহণের বিপরীতে নগদ অর্থ প্রদানের মাধ্যমেঃ ক) শিশুদের পুষ্টি ও মেধা বিকাশ সাধন এবং খ) সামাজিক নিরাপত্তা বেষ্টনী কার্যক্রম পরিচালনায় ইউনিয়ন পরিষদের সক্ষমতা বৃদ্ধি। আনুমানিক ৬ লক্ষ অতিদরিদ্র উপকারভোগী এ প্রকল্প থেকে সরাসরি উপকৃত হবেন।
প্রকল্পে অন্তর্ভুক্ত হওয়ার যোগ্যতাঃ
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস/ইউপি) জরিপের তথ্য অনুযায়ী একটি নির্দিষ্ট দারিদ্র্য সীমার আওতাভুক্ত যে সকল পরিবারে নিম্নোক্ত বৈশিষ্ট্যের সদস্য রয়েছে তারাই কেবল প্রকল্পের সুবিধাভোগী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হবেনঃ ক) যে পরিবারে অন্তঃসত্ত্বা নারী আছে, খ) ০-২৪ মাস বয়সী শিশু আছে (অবশ্যই প্রথম অথবা দ্বিতীয় শিশু হতে হবে), গ) ২-৪ বছর বয়সী শিশু আছে (অবশ্যই প্রথম অথবা দ্বিতীয় শিশু হতে হবে)।
উপকারভোগী অন্তর্ভুক্তকরণের সময় তিন ধরণের তথ্যাদি যাচাই করা হবে : ১. জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম নিবন্ধন কার্ড, ২.অন্তঃসত্ত্বা টেস্ট সার্টিফিকেট এবং ৩. সন্তানের জন্ম সনদ পত্র অথবা টিকা কার্ড।
বর্তমানে কুড়িগ্রাম জেলার ভুরুঙ্গামারী, চিলমারী, রৌমারী, উলিপুর, নাগেশ্বরী, রাজারহাট, ফুলবাড়ী উপজেলার সকল ইউনিয়নে উপকারভোগী অন্তর্ভুক্তকরণ কার্যক্রম শুরু হয়েছে। অতিদরিদ্র পরিবারে অন্তঃসত্ত্বা নারী অথবা যাদের ১ম ও ২য় সন্তানের বয়স ৪ বছরের নীচে রয়েছে তাদেরকে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা জন্ম সনদ, অন্তঃসত্ত্বা টেস্ট সার্টিফিকেট, সন্তানের জন্ম সনদ পত্র অথবা টিকা কার্ড নিয়ে অন্তর্ভুক্তির জন্য সংশ্লিষ্ট ইউনিয়নের সেফটি নেট সেল-এ যোগাযোগ করুন। যোগাযোগের জন্য: ভুরুঙ্গামারী উপজেলা ০১৭১৯-৪৬২০৬০, চিলমারী উপজেলা ০১৭৩১-৮১৯১৭৪, রৌমারী উপজেলা ০১৭৩৮-৩৭৭০১১, উলিপুর উপজেলা ০১৭১৬-০৯৬৪৯১, নাগেশ্বরী উপজেলা ০১৭৪০-০৫২০৬৮, রাজারহাট উপজেলা ০১৭০৬-৮১১২১৬ এবং ফুলবাড়ী উপজেলা ০১৭১৫-৯১৭৭৪৭।