কী করবেন বসের ঝাড়ি খেলে

0
67

সব দিন সমান যায় না। বাজে দিনও আসে। অফিসের কর্মীরা এটা ভালোই জানেন। অফিসে নানা রকম ঝামেলা তৈরি হয়। কাজের চাপ, বসের ঝাড়ি ও চাকরি-সংক্রান্ত নানা জটিলতা তো থাকেই। কিন্তু অনেকেই অফিসের সেই ঝামেলা বাড়ি পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। ফলে অফিসে কিংবা বাড়িতে কোথাও শান্তি থাকে না। অফিসের ঝামেলা কেন বাড়িতে যায়, তা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকেরা গবেষণা করেছেন।মাথায় হাত
গবেষকেরা বলেন, অফিসে কর্মীদের খারাপ দিন যেতে পারে। এ থেকে তৈরি হতে পারে হতাশা। অফিসের ঝামেলায় প্রভাব পড়তে পারে বাড়িতে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, দ্রুতগতিতে হাঁটাহাঁটি করা ও দীর্ঘ সময় সাঁতার কেটে এ ধরনের হতাশা কাটানো যায়। গবেষকেরা অফিসে বাজে সময়জনিত হতাশা দূর করার জন্য ‘ব্রিস্ক ওয়াক’ করার পরামর্শ দেন। এই ব্রিস্ক ওয়াক হচ্ছে, প্রতি ঘণ্টায় তিন মাইল বা তার বেশি কিংবা ২০ মিনিটে এক মাইল গতিতে হাঁটা।

গবেষকেরা দাবি করেন, তাঁরা ঘুমের ধরন ও দিনের বেলার শারীরিক নড়াচড়ার বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছেন। তাঁরা দেখেছেন, যাঁরা দৈনিক গড়ে ১০ হাজার ৯০০ পা হাঁটেন, তাঁরা ৭ হাজার পা হাঁটা কর্মীদের তুলনায় বাড়িতে কম ঝামেলা টেনে আনেন।

যুক্তরাষ্ট্রের সেন্ট্রাল ফ্লোরিডা বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষক শ্যানন টেলর বলেন, ‘গবেষণায় দেখা গেছে, যাঁরা অফিসে খারাপ আচরণের শিকার হন, তাঁরা বাড়িতে একই রকম আচরণ করেন। যদি কর্মীরা তদারককারীদের কাছে অপমানিত বা খারাপ আচরণ পান, তখন তাঁদের সেই হতাশা বাড়ির সদস্যদের ওপর চাপানোর প্রবণতা দেখা যায়।’

গবেষক টেলর বলেন, গবেষণায় দেখা গেছে, অফিসের ঝামেলা বাড়িতে আসার কারণ হচ্ছে কর্মীরা তাঁদের আচরণ নিয়ন্ত্রণের ক্ষেত্রে ক্লান্তিবোধ করেন।

গবেষকেরা এর প্রতিকার হিসেবে ঘুম ও ব্যায়ামের প্রয়োজনীয়তার কথা বলেছেন। ক্ষতিকর আচরণ ঠেকাতে এ দুটি বিষয়ের ভূমিকা রয়েছে। তথ্যসূত্র: পিটিআই