সময়ের পাতা ডেস্ক: বিষন্নতা কাটানোর সবচেয়ে ভালো উপায় হচ্ছে হালকা খাবার খাওয়া। আর সে খাবারে যদি শরীরের ওজন কমে তাহলে তো সোনায় সোহাগা। শরীরের বাড়তি ওজন কমানোর জন্য অনেকেই নানান ডায়েট মেনে চলেন। তবে সবসময় তা মেনে চলা সম্ভব হয়ে ওঠে না। সারাদিনের কর্মব্যস্ততার মাঝে যদি উচ্চ প্রোটিন সমৃদ্ধ হালকা স্ন্যাক্স খাওয়া যায় তাহলে খুব সহজেই শরীর থেকে বাড়তি ওজন ঝেড়ে ফেলা যায়।
১। আপেল ও কাজুবাদামের স্যান্ডউইচ হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ স্ন্যাক্স। এতে আছে হাই প্রোটিন এবং লো ফ্যাট যা আপনার দেহে বাড়তি চর্বি জমতে দেয় না।
২। সামুদ্রিক মাছের মধ্যে টুনা মাছে রয়েছে এক্সট্রা প্রোটিন ও ওমেগা ৩ যা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য খুব উপকারী। আপনার পছন্দের বিস্কিট বা টোস্টের উপরে টুনা ফিসের সালাদ নিয়ে খেতে পারেন।
৩। অ্যাভোক্যাডো হচ্ছে স্বাস্থ্যকর ফ্যাটের আধার, আর কটেজ চীজ বা পনিরে আছে হাই প্রোটিন। পাউরুটির টোস্টে কটেজ পনির আর অ্যাভোক্যাডো একসাথে নিয়ে খেলে খুব দ্রুত শরীরের ওজন কমে যায়।
৪। আপনি বাড়িতেই বানাতে পারেন ড্রাই ফ্রুট, চকোলেট এবং নানান ধরনের বাদাম দিয়ে একটি স্ন্যাক্স। বাদামে রয়েছে প্রোটিন আর ডার্ক চকলেটে আছে ক্যাফেইন যা আপনার শরীরকে নিমিষেই চাঙ্গা করে তোলে।
৫। মোজরেলা পনির প্রোটিনের ভাল উৎস। বিভিন্ন সবজি বা মাছ মাংসের সাথে এই চীজ দিয়ে রান্না করা খাবার দেহে কখনোই প্রোটিনের অভাব হতে দেয়না।
৬। মুরগির মাংস দিয়ে তৈরি বল এবং অ্যাভোক্যাডো দিয়ে বানানো সালাদ আপনার পেট পরিপূর্ণ রাখে।
৭। কুকিজ এর স্বাদযুক্ত দইতে আছে শুধু মাত্র ১৫৫ ক্যালরি এবং ২৬ গ্রাম প্রোটিন।
৮। কলা, দুধ ও বাদামের মাখন দিয়ে বানানো মিল্কশেক হচ্ছে এমন একটি পানীয়, যা আপনার সকল ক্লান্তি দূর করে দিবে।
৯। বিফ জার্কি বা শুকনো গরুর মাংসে রয়েছে হাই প্রোটিন এবং কম কার্বোহাইড্রেড। যা আপনার ওজন কমাতে কার্যকর ভূমিকা পালন করে।
১০। হালকা নাস্তা হিসেবে সিদ্ধ ডিম সবসময় উপকারী। সিদ্ধ ডিম এবং অ্যাভোক্যাডো একসাথে সালাদ আপনার ক্ষুধা অনেকটাই নিবারণ করে।