মোঃখালেদ বিন ফিরোজ, সময়ের পাতা ডেস্কঃনওগাঁর আত্রাইয়ে কম্পিউটারের দোকানে হাত বাড়ালেই মিলছে অশ্লীল ভিডিও।আত্রাই উপজেলার প্রায় সব কম্পিউটারের দোকানে মোবাইলের মেমোরী লোডের নামে চলছে এইসব অশ্লীল অসামাজিক ছবি,সর্ট-ফুল সময়ের ভিডিওয়ের ব্যবসা।কম্পিউটারের দোকান গুলোতে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে মাত্র ১০/২০ টাকার বিনিময়ে মেমোরীতে এসব লোড করে দিচ্ছে।আর এসব অশ্লীল ভিডিও মেমোরীতে লোড করে নিচ্ছে এর বেশিরভাগ ই হচ্ছে শিশু,কিশোর-কিশোরী, যুবক-যুবতী রায় এসব ভিডিও বেশী নেয়।তবে সব বয়সের লোকেরায় এসব ভিডিও নিতে আসেন বলেও জানা গেছে।এসব অশ্লীল সব ভিডিও ও ছবি দেকার কারনে সমাজে বাড়ছে সব অসামাজিক কারজকালাপ।সরেজমিনে আরও জানা গেছে যেসব ছেলেরা সরাসরী এইসব কম্পিউটারের দোকানে গিয়ে লজ্জ্বায় চাইতে পারে না তারা ব্লুথুর সাহায্যে স্কুল কলেজে গিয়ে মোবাইল এ পার করে নেয়।এসব ভিডিও দেখার ফলে সমাজে দিনদিন বেড়েয় চলছে ধর্ষণ,ইভটিজিং এর মত যাবতীয় অসামাজিক কারজকালাপ। বাংলাদেশ ১৮৬০ এর ধারা ২৯২
নওগাঁয় কম্পিউটার দোকান গুলোতে চলছে পর্নগ্রাফি ও অশ্লীল ভিডিওয়ের ব্যবসা
এ বলা হয়েছে-কোনো অশ্লীল বই, পুস্তিকা, কাগজ, অঙ্কন,ছবি, মূর্তি বা অন্য কোনো অশ্লীল জিনিস
বিক্রি, ভাড়া দেওয়া, প্রদর্শন বা বিতরণ করার উদ্দেশ্যে বানানো; অথবা উপরোক্ত অশ্লীল জিনিসগুলি বিক্রি, ভাড়া দেওয়া,বিতরণ বা প্রদর্শন করা, অথবা সেগুলি নিজের
কাছে রাখা হল দণ্ডনীয় অপরাধ।
উপরোক্ত যে কোনো উদ্দেশ্যে কোনো
অশ্লীল বস্তু আমদানী বা রপ্তানী করা;
নিজের সে উদ্দেশ্য না থাকলেও সেই
উদ্দেশ্যে এটি ব্যবহৃত হতে পারে যদি জানা থাকে – সেটাও দণ্ডনীয় অপরাধ।নিজের জ্ঞাতসারে অশ্লীল বস্তু সংক্রান্ত ব্যবসায় অংশ নিলে বা সেই ব্যবসার লভ্যাংশ গ্রহণ করলে – সেটিও হবে দণ্ডনীয়।এই ধারা অনুসারে অবৈধ কোনো কাজে যুক্ত
লোকের খবর কাউকে জানালে বা তার জন্য বিজ্ঞাপন দিলে – সেটাও অপরাধ বলে গণ্য করা হবে।শিশুদের
ব্যবহার করে পর্নোগ্রাফি উৎপাদন ও
বিতরণকারীদের ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ শাস্তি
১০ বছরের কারাদণ্ড এবং অধিকন্তুু ৫ লাখ টাকা জরিমানা আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।এ বিষয়ে আত্রাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোঃ মোখলেছুর রহমানের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন আমরা এই বিষয়ে কঠোর ভাবে অভিযান পরিচালনা করব এবং কোন পর্নগ্রাফি ক্রয় বিক্রয় করতে দেবনা।